Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য স্লাইডার

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা

    March 21, 20209 Mins Read

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমদিকে যে কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, সিঙ্গাপুর তার মধ্যে একটি। সেখানে গোয়েন্দারা সম্ভাব্য ভাইরাস সংক্রমণের শিকার ব্যক্তি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে যেন ভাইরাসের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারেন তারা। খবর বিবিসি বাংলার।

    Advertisement

    তারা কীভাবে এই কাজ করছেন? বিশ্বের বাকি জায়গাগুলো কী এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি করে ফেলেছে?

    জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চীনের গুয়াংশি শহর থেকে ২০ জন পর্যটকের একটি দল চীনা নববর্ষ উদযাপনের জন্য সিঙ্গাপুর সফর করে। দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কয়েকটি জায়গা ভ্রমণ করে তারা।

    তারা চীনা প্রথাগত একটি ওষুধের দোকানও ভ্রমণ করেছিলেন যেখানে কুমিরের তেল ও বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ বিক্রি করা হয়। চীনের মূল ভূখণ্ডের পর্যটকদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় দোকান।

    একজন বিক্রয়কর্মী ঐ দলটিকে তাদের দোকানের জিনিসপত্র দেখান। এমনকি তাদের হাতে ঔষধি তেলও মালিশ করে দেন।

    ঐ চীনা দলটি তাদের ভ্রমণ শেষ করে চীনে ফেরত যায়, তবে ফেলে রেখে যায় অদৃশ্য কিছু জিনিস।

    ঐ সময়ে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল ১৮ জনের মধ্যে, যেগুলোর সবগুলোই চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছিল।

    কিন্তু ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ সিঙ্গাপুরের সরকার জানায় যে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়েছে, যার প্রথম গুচ্ছটি ইয়ং থাই হ্যাং চাইনিজ ঔষধের দোকানে ছিল। প্রথম দুইজন অসুস্থ হওয়া ব্যক্তি ছিলেন স্থানীয় একজন ট্যুর গাইড ও একজন বিক্রয়কর্মী।

    ঐ একটি দোকান থেকে নয় জন সংক্রমিত হয়, যার মধ্যে বিক্রয়কর্মীর স্বামী, তার ছয় মাস বয়সী সন্তান এবং তাদের ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী ছিলেন। ঐ দোকানের আরো দু’জন কর্মীর মধ্যেও ভাইরাস ছড়ায়।

    তাদের সবাই এখন সুস্থ আছেন। তবে পরিস্থিতি আরো অনেক ভয়াবহ হতে পারতো যদি সিঙ্গাপুরের কার্যকর কন্টাক্ট ট্রেসিং বা সংস্পর্শের ইতিহাস নির্ণয় করার পদ্ধতি না থাকতো। ভাইরাসটি একজন থেকে কীভাবে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হয় তা নির্ণয় করা, ঐ ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, তাদের এবং ভাইরাস ছড়ানোর আগে তাদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে কার্যকর ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয় এই পদ্ধতিতে।

    মাউন্ট এলিজাবেথ নভেনা হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এভং সিঙ্গাপুর সরকারের উপদেষ্টা লেয়ং হো নাম মন্তব্য করেন, “আমাদের অবস্থা উহানের মত হয়ে যেত। হাসপাতালগুলো উপচে পড়তো।”

    ১৬ই মার্চ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৪৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে যার মধ্যে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। সংক্রমিতদের প্রায় ৪০% মানুষের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয় পরীক্ষা করতে এবং নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে।

    ১৬ই মার্চ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট ৪ হাজার মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসেছিল বলে নিশ্চিত করা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের তদন্ত এবং পুরনো ধাঁচের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে এই মানুষগুলোকে শনাক্ত করা গেছে, অনেক সময়ই যার শুরু হয়েছে একটি টেলিফোনের মাধ্যমে।

    অচেনা একজনের ফোন

    এক ছুটির শনিবার সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ব্রিটিশ যোগব্যায়ামের শিক্ষক মেলিসার (আসল নাম নয়) কাছে একটি ফোন আসে, যেখান থেকে তিনি জানতে পারেন যে তিনি ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

    অচেনা একটি নম্বর থেকে তাকে ফোন করে এই তথ্য জানানোর সময় সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে প্রশ্নও করা হয়।

    “আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিটে বকেটি ট্যাক্সিতে ছিলেন? আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই, ঠিকমতো চিন্তাও করতে পারছিলাম না।”

    মেলিসা জানান যে তিনি ঐ ট্যাক্সিতে ছিলেন এবং বলেন যে ঐ ট্যাক্সি ভ্রমণের সময়টা ছিল মাত্র ছয় মিনিট।

    তিনি আজ পর্যন্ত জানেন না যে ঐ ট্যাক্সির চালক সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, নাকি ঐ ট্যাক্সির সেবা নেয়া কোনো যাত্রী সংক্রমিত হয়েছিলেন।

    তিনি শুধু জানেন যে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে তাকে ঘরে কোয়ারেন্টিন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

    পরের দিন মেলিসা বুঝতে পারেন যে স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশনার ব্যাপারে আসলে কতটা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পরেরদিন তার বাসার সামনে জ্যাকেট ও সার্জিক্যাল মাস্ক পড়ে তিনজন চলে আসে।

    মেলিসা বলেন, “সেটা অনেকটা সিনেমার মত ছিল। তারা আমাকে একটি চুক্তিপত্র দেয়। যেটি আসলে ছিল একটি কোয়ারেন্টিন থাকার আদেশ, যেখানে বলা ছিল যে আপনি আপনার বাসার বাইরে যেতে পারবেন না, অন্যথায় জেল ও জরিমানা হবে। সেটি আসলে একটি আইনি নোটিশ ছিল।”

    “তারা আমাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে আপনি বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। আমিও জানতাম যে আমি চুক্তি ভঙ্গ করবো না। আমি জানি যে এমন একটি দেশে আমি থাকি যেখানে তারা আপনাকে যা বলে আপনার তাই করতে হবে।”

    দুই সপ্তাহ পরে যখন মেলিসার দেহে কোভিড-১৯’এর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি, তখন তাকে বাসা থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

    সিঙ্গাপুরে অধিকাংশ মানুষই কাউকে না কাউকে চেনে যাদের এভাবে কন্টাক্ট ট্রেস করা হয়েছে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৮ হাজার মানুষ থাকা সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এরকম জায়গায় শনাক্ত না হওয়া একটি সংক্রমণের গুচ্ছ থেকে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

    এর ফলে অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর যে ধরণের চাপ তৈরি হতে পারে তা অকল্পনীয়। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেককে খুঁজে বের করে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া সিঙ্গাপুরের হাতে তেমন কোনো পথও খোলা ছিল না।

    ধাঁধাঁর উত্তরের খোঁজে গোয়েন্দারা

    সিঙ্গাপুরের যেই কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়, তার একটি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালের যে তিনজন কন্টাক্ট ট্রেসিং করেন বা ভাইরাস সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসতে পারেন এমন মানুষদের খুঁজে বের করেন, কনসেসাও এডউইন ফিলিপ তাদের মধ্যে একজন।

    হাসপাতালে আসা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন এবং কোথায় কোথায় গিয়েছেন, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে তার দল।

    তিনি জানান, “আমরা যখন পরীক্ষার পর কাউকে পজিটিভ পাই তখন সব কাজ বাদ দিয়ে রাত ৩টা পর্যন্ত তার সাথে কথা বলি। পরেরদিন সকালে আবারো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়।”

    ঐ তথ্য তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে, এরপর পদক্ষেপ নেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

    এডউইন ফিলিপ বলেন, “প্রথম তথ্যটি ছাড়া বাকিগুলোর যোগসূত্র মেলানো সম্ভব না। এটি অনেকটা ধাঁধাঁর মত, সবগুলো টুকরো আপনাকে মেলাতে হবে।”

    ঐ কাজের জন্য নিয়োজিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যেসব দল কাজ করে, সেরকম একটি দলের নেতৃত্ব দেন জুবাইদা সাইদ।

    তথ্য একত্রিত করার ক্ষেত্রে অনেকসময়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তার দল। অনেক সময়ই আক্রান্তরা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত শারীরিক অবস্থায় থাকেন না যা তাদের কাজকে আরো কঠিন করে তোলে।

    তখন শুরু হয় তৃতীয় ধাপের কাজ। এ ধরণের কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সহায়তাও নেয় সিঙ্গাপুর।

    পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার লিয়াম ঘিম হুয়া ইমেইল করে বিবিসিকে জানান, “তথ্য আদান প্রদানের জন্য পুলিশ ও মন্ত্রণালয় নিয়মিত টেলি-কনফারেন্স করে।”

    “গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জন অফিসার প্রতিদিন কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য নিয়োজিত থাকেন। কোনো কোনো দিন এই দায়িত্বে ১০০ জন অফিসারও থাকেন।”

    হার কম থাকার কারণে একসাথে দুই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ বিভাগ। এই কাজে তদন্ত বিভাগ কখনো কখনো মাদক বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগেরও সহায়তা নিয়ে থাকে।

    সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য চিত্রায়ন এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অচেনা কন্টাক্টদের শনাক্ত করা হয়।

    এই পদ্ধতির কার্যকারিতা জুলির ঘটনা দিয়েই বোঝা যায়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জ্বর জ্বর ভাব নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি।

    জুলি ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন, এই তথ্য চিকিৎসকরা তাকে জানানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই কর্মকর্তারা কাজ করা শুরু করে দেয় কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের।

    “হাসপাতালের বিছানায় থাকার সময়ই আমি প্রথম ফোনটি পাই”, বলেন জুলি।

    এরপর শুরু হয় আগের সাতদিন তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন এবং কার কার সংস্পর্শে এসেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রশ্ন।

    “আমি কার সাথে ছিলাম, কী করছিলাম সেগুলো সহ যাদের সাথে ছিলাম তাদের সাথে যোগাযোগের পন্থাও তারা জানতে চায় আমার কাছে।”

    কর্মকর্তারা বিশেষ করে জানতে চাইতেন ২ মিটার দূরত্বে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে কার কার সাথে তিনি সময় যাপন করেছেন।

    “কারো সাথে যদি আমার ধাক্কা লেগে যায় সেবিষয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। যাদের সাথে কিছুক্ষণ সময় পার করেছি, তাদের বিষয়ে জানতে চাইছিল তারা।”

    জুলি কন্টাক্ট ট্রেস করা কর্মকর্তার সাথে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে কথা বলেন। ফোন রাখার পর দেখা যায় তিনি ৫০ জনকে শনাক্ত করেছেন যাদের সবার সাথে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের আদেশ দেয়া হয়।

    ঐ ৫০ জনের একজনের মধ্যেও ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেনি।

    কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ‘নিখুঁত পদ্ধতি’

    কন্টাক্ট ট্রেসিং নতুন কোনো বিষয় নয় – যেসব রোগী তাদের অসুস্থতা অন্যের মধ্যে ছড়িয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কয়েক দশক ধরেই শনাক্ত করা হয়ে আসছে।

    তবে সিঙ্গাপুর এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যেভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তার প্রশংসা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলেছেন সিঙ্গাপুরের নেয়া পদক্ষেপ কন্টাক্ট ট্রেসিং করার ‘প্রায় নিখুঁত পদ্ধতি।’

    প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার আগেই যে সিঙ্গাপুর কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে, সেবিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের প্রশংসা করেছে।

    যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যেটা করেনি, মানুষের মধ্যে যেন কন্টাক্ট ট্রেসিং না হয় তা নিশ্চিত করতে আগে আগেই কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করে সিঙ্গাপুর।

    “আপনি যদি কন্টাক্ট ট্রেসিং করতে দেরি করে ফেলেন তাহলে তা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ তখন এটি অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে”, বলেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সিওসি ওয়াইলস।

    কিন্তু সিঙ্গাপুর যতটা নিখুঁতভাবে রোগী শনাক্ত করেছে, তা অনেক দেশের পক্ষেই করা সম্ভব হবে না।

    বিবিসিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় যে সিঙ্গাপুরের যেরকম নজরদারির ব্যবস্থা, তা বিশ্বের খুব বেশি দেশের নেই।

    তবে এটি সম্ভব হয়েছে জনসাধারণের সহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে। সরকার থেকে ফোন করে যখন সহায়তা চাওয়া হয়, তখন সবাই সহায়তা করেছে।

    আপনিও এসব ভুল করছেন না তো?

    সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগ বিষয়ক আইন অনুযায়ী পুলিশ যখন তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, তখন তাদের সহায়তা না করা বেআইনি।

    এই অপরাধের জন্য জরিমানা ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার (৬ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার) বা ছয়মাসের জেল – অথবা দু’টিই।

    কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের সময় পুলিশকে নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ার দায়ে এরই মধ্যে দু’জন চীনা নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    গত সপ্তাহ জুড়ে তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া বিগ ডেটা, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও বহু মানুষের পরীক্ষা চালানোর মত পদক্ষেপ নিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন মাত্রায় সফলতা লাভ করেছে।

    এশিয়ার অন্যান্য ঘনবসতিপূর্ণ, জনবহুল ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোর জন্য বিষয়টি ভিন্ন। তাদের জন্য এটি খুঁজে বের করা অনেকটা খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজে বের করার মত। তাদের কোনো ধারণাই নেই পরবর্তী ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি দেশের কোথা থেকে আসবে।

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি বিষয়ের শিক্ষক জেমস ক্যাবট্রি বলেন, “যেসব সমাজে বিশেষজ্ঞ ও সরকারের ওপর মানুষের ভরসা থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার মত সামর্থ্য থাকে, সেসব দেশ ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বেশি সফল হয়েছে।”

    “যে কারণে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মত দেশ ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সফল হয়েছে।”

    সরকার কি তথ্য গোপন করছে?  কখন আপনি হাল ছাড়বেন?

    ৫ই মার্চ সিঙ্গাপুর তাদের দেশে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় গুচ্ছের তথ্য জানায়।

    ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে একটি কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত এক চীনা নববর্ষ ডিনারে কয়েকশো অতিথি ছিলেন – যেই একটি পার্টি থেকে ৪৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়।

    এরপর তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যে একসাথে সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে আশঙ্কা করা হয় যে কন্টাক্ট ট্রেসিং দ্রুত অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এরকম সময় স্কুল বন্ধ করা বা লকডাউনের মত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

    সিঙ্গাপুরে প্রতিদিন ভাইরাস শনাক্তের নতুন ঘটনাও বেড়ে গেছে, যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আসা।

    যেমন ১৮ই মার্চ সিঙ্গাপুর নতুন ৪৭ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায়। ঐ ৪৭ জনের মধ্যে ৩৩ জনই বিদেশ থেকে এসেছেন এবং অধিকাংশই বিদেশ থেকে ফেরা সিঙ্গাপুরের নাগরিক।

    তবে সরকার বলছে এখনও কন্টাক্ট ট্রেসিং যথেষ্ট সময়োপযোগী, কারণ কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে এই মহামারির বিভিন্ন ধাপে কী কৌশল অবলম্বন করা হবে, তা ঠিক করতে পারে সরকার।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    যুক্তরাষ্ট্রের হামলার

    যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পারমাণবিক উপকরণ: ইরান

    June 22, 2025
    ট্রাম্প

    এখনই ইরানকে শান্তি স্থাপনের আহ্বান, না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    June 22, 2025
    ট্রাম্প

    গতকাল ইরানে হামলা ছিল অসাধারণ সামরিক সাফল্য : ট্রাম্প

    June 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’

    ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানানোয় ছাত্রদল নেতাকে শোকজ

    অবশেষে মারা গেলেন

    অবশেষে মারা গেলেন ইবি ছাত্রী সুমাইয়া

    রাজবাড়ী কৃষি বিপণন

    রাজবাড়ী কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ঘুষের ভিডিও ভাইরাল

    লাউয়াছড়ায় বেড়েছে

    লাউয়াছড়ায় বেড়েছে পর্যটক, সংকটে বনের প্রাণীরা

    দুদকের জালে তমা

    দুদকের জালে তমা ও ম্যাক্স গ্রুপের পরিচালকরা

    শিবচরে ট্রেন দুর্ঘটনায়

    শিবচরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩২ বছরের যুবক নিহত

    চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর

    চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অভিযান, গুরুদাসপুরে ধরা পড়লো ৬ ডাকাত

    ওজন কমানোর খাবার

    ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে কী খাবেন? চিকিৎসকদের মতে সেরা ৫ খাবার

    কী ঘটেছিল বিথীর সঙ্গে

    কী ঘটেছিল বিথীর সঙ্গে, যা জানা গেল

    যুক্তরাষ্ট্রের হামলার

    যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পারমাণবিক উপকরণ: ইরান

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.