সুইডেনের সাবেক প্রধান সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ এবং ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু মহামারি প্রতিরোধে অগ্রসৈনিক হিসেবে পরিচিত প্রফেসর আনিকা লিন্দে বলেছেন, কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হলেও তাদের আজীবন শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকতে হতে পারে।
সংবাদ সংস্থা টিটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর আনিকা বলেন, গুরুতর কভিড-১৯-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শ্বাসকষ্ট, যা এ রোগের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দিক। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের বেশির ভাগই মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় বা হতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু কভিড-১৯ রোগের সর্বগ্রহণযোগ্য কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি এবং গুরুতর শ্বাসকষ্ট ছাড়াও নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকদের যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হচ্ছে, বিশেষ করে কভিড-১৯ আক্রান্তের ক্ষেত্রে তা দেহের অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি করবে বা করার আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি। কভিড-১৯ সংক্রমণ-পরবর্তী সময়ে কিছু রোগী ‘সেপটিক-শক’ দ্বারাও ভুগতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেহের অভ্যন্তরীণ একাধিক অর্গান স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারাতে পারে। স্বভাবতই কভিড-১৯ থেকে মুক্তি পেলেও রোগীকে দেহের অন্য ক্ষতগুলোকে সঙ্গে নিয়েই বাকি জীবন বেঁচে থাকতে হতে পারে বলে প্রফেসর আনিকা জানান।
কভিড-১৯ সংক্রমণ হলো একটি প্রাণঘাতী প্রদাহী প্রতিক্রিয়া, যা একটি বিশাল আক্রমণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আঘাত করে এবং দেহের স্বাভাবিক প্রণালি বা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং দেহাভ্যন্তরে বিভিন্ন সংকেতযুক্ত পদার্থের মতো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। উদ্ভূত এই ভিন্ন ভিন্ন সংকেতযুক্ত প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভুলভাবে কাজ করে বা সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তবে আনিকা বলেন, এ ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হিসেবে এবং কভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।