বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ইতোমধ্যে ১৯৫টিরও বেশি দেশে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় নিহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১০ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২১ হাজার ২৮৭ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৫ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার ইতালিতে আরও ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিনও দেশটিতে মৃত্যুর ঘটনা ছিল ৬০১টি।
এ নিয়ে সেখানে মোট ৬ হাজার ৮২০ জন মারা গেলেন। যেখান থেকে করোনার শুরু সেই চীনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩২৪৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪৯ জন। সোমবারও আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৭৮৯ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৭৬ জন।
আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনের চাইতে এখনো পিছিয়ে ইতালি। এশিয়ার দেশটিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল এই রোগে।
বাংলাদেশে এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত আরও এক রোগী মারা গেছেন। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।