আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে স্পেনের মৃত্যুর সংখ্যা চীনের সরকারি পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন ইতালির পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউরোপের এই দেশটির।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছে ৭৩৮ জন। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৬৮৩ জন। স্পেনে মোট মারা গেছে ৩ হাজার ৪৩৪ জন। অন্যদিকে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ হাজার ২২৮ জনের খবর প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ২০ হাজার ৮২২ জন। বুধবার ইউরোপের দেশ ইতালিতে নতুন করে ৬৮৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৫০৩ জন।
করোনা সংক্রমণের হারে স্পেনের অবস্থান পঞ্চম। দেশটিতে ৪৭ হাজার মানুষের দেহে এটি ধরা পড়েছে। প্রায় ২৭ হাজার জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
মাদ্রিদ দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। তবে উত্তর-পূর্বের কাতালোনিয়ায় সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
এদিকে স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী কারম্যান ক্যালভোর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। রবিবার শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংসদ সদস্যরা দেশের জরুরি অবস্থা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করার কথা বলছেন। বর্তমানে স্পেনে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ।
করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি বলে জানাচ্ছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। এতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ পার অতিক্রম করেছে।
একদিকে এই মহামারির প্রাণকেন্দ্র চীনের হুবেই প্রদেশ বুধবার থেকে লকডাউন তথা অবরুদ্ধ দশা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে; অপরদিকে বহু দেশ নতুন করে লকডাউন শুরু করেছে বা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আসছে দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রাদুর্ভাবের নতুন উপকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারত দেশজুড়ে পুরোপুরি ২৪ ঘণ্টার লকডাউন শুরু করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।