Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে দিশেহারা বাংলাদেশি রোগীরা
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) আন্তর্জাতিক জাতীয়

    করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে দিশেহারা বাংলাদেশি রোগীরা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কMay 9, 20215 Mins Read
    Advertisement

    শাকিল আনোয়ার, বিবিসি নিউজ বাংলা (লন্ডন): কোভিডে মৃত মায়ের মরদেহ নিয়ে কীভাবে কত দ্রুত দেশে ফিরবেন, মর্যাদার সাথে মাকে দাফন করতে পারবেন তা নিয়ে উদভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন নাহিদ নাসের তৃণা, তার দুই বোন, চাচাতো ভাই এবং শোকে কাতর বাবা।

    দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) জন্য আবেদন করেছেন তারা, কিন্তু রোববার বিকাল পর্যন্ত তা তাদের কাছে আসেনি। শুধু মায়ের মরদেহের ছাড়পত্র হাতে পাওয়া গেছে। মৃত মা শুক্রবার থেকেই হাসপাতালের হিমঘরে।

    “আমাদের মনের অবস্থা যে এখন কেমন তা বলে বোঝাতে পারবো না,“ দিল্লি থেকে টেলিফোনে বিবিসিকে বলছিলেন ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তৃণা।

    ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তা

    এমনিতে গুলশান আক্তারের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার স্বামী এবং সন্তানেরা। কিন্তু শোকের চাইতে মরদেহ নিয়ে দেশে ফেরা এবং তার দাফন নিয়ে শোকের চেয়ে উদ্বেগই বেশি ভর করেছে পুরো পরিবারের ওপর।

    “কখন দেশে যাওয়া যাবে? বিমান নেই, ফলে কিভাবে এতদূর মায়ের মরদেহ নিয়ে যাবো? বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে যদি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় কিভাবে তা সম্ভব হবে? মায়ের দাফন কোথায় কিভাবে হবে – এসব চিন্তায় মাথা এলোমেলো হয়ে আছে সবার,“ বলেন তিনি।

    শুধু গুলশান আক্তারই নয়, সাত জনের পরিবারের সবাই একে একে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। উপসর্গ চলে গেলেও সবাই যে নেগেটিভ হয়েছেন রোববার পর্যন্ত সেই টেস্টের ফলাফল তারা পাননি।

    নষ্ট হয়ে যাওয়া কিডনি বদলানোর জন্য গত ২৬শে মার্চ দিল্লিতে যান গুলশান আক্তার। সাথে ছিলেন স্বামী, তিন মেয়ে এবং তাদের চাচাতো ভাই এবং বাসার গৃহকর্মী। দিল্লির উপকণ্ঠে ফিরোজাবাদ এলাকায় হাসপাতালের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা।

    দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে।

    “মায়ের ডায়ালাইসিস চলছিল, সপ্তাহে তিনদিন। শহরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের খবর শুনছিলাম। চিন্তা ঢুকেছিল মায়ের চিকিৎসা এখন ঠিকমত কি হবে?“, বলেন তৃণা।

    পরিবারের সবার কোভিড

    আশঙ্কা সত্যি রূপ নিল যখন ২১শে এপ্রিল তৃণার বাবা এবং দুই বোনের কোভিড ধরা পড়লো। দুদিন পর ধরা পড়লো তার মায়ের। তার পর একে একে সবার।

    গুলশান আক্তারের শরীরে অক্সিজেন দ্রুত কমতে থাকায় ২৬শে এপ্রিল তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন-চারদিনের মাথায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। তারপর শুক্রবার ডাক্তাররা জানান হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

    “আমরা মনে করিনা চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হয়েছে, কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর মা প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়েছিলেন। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। হিন্দি বা ইংরেজি বলতে পারতেন না। আমাদের সাথেও দেখা হতো না। আমার মনে হয় ঐ চাপ তিনি নিতে পারেননি।“

    গুলশান আরা মাঝে মধ্যে পরিবারকে বলতেন মৃত্যুর পর তাকে যেন নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। “আমরা কি তা পারবো জানিনা, “দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন তৃণা।

    এনওসি পেলেও ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের আসতে হচ্ছে বেনাপোল স্থল সীমান্ত দিয়ে। ঢোকার পর সেখানে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। সেই চিন্তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তৃণা, তার ভাই-বোন এবং বাবা।

    আটকা পড়েছেন অনেকে

    তৃণার পরিবারের মত কম-বেশি একই সংকটে পড়েছেন ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বহু বাংলাদেশি।

    চেন্নাইতে চিকিৎসা করতে গিয়ে একইভাবে আটকা পড়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং তার স্ত্রী। বললেন তার শরীরের যে অবস্থা তাতে স্থলপথে ফেলা সম্ভব নয়, ফলে এনওসির জন্য আবেদনও করেননি।

    বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢোকার পর সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে না ফিরে চেন্নাই থেকে দুবাইতে গিয়ে সেখানে কিছুদিন থাকার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু ভারত থেকে দুবাইয়ের ফ্লাইটও বন্ধ।

    “হোটেলে খাঁচাবদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছি,“ চেন্নাই থেকে টেলিফোনে তিনি বিবিসিকে বলেন।

    মি কামরুজ্জামান জানালেন, যে হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছিল সেখানেই শনিবার বাংলাদেশী একজন ক্যানসারের রোগী মারা গেছেন।

    “মরদেহ দেশে নিয়ে যাওয়া নিয়ে সাথে আসা পরিবারের সদস্য চোখে অন্ধকার দেখছেন। সরকারের উচিৎ শিঘ্রি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে এমন সঙ্কটে পড়া লোকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।“

    জানা গেছে, কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেড খালি করতে অনেক হাসপাতাল অন্য রোগীদের আগেভাগেই ডিসচার্জ করে দিচ্ছে। ফলে দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন এরকম কয়েক হাজার বাংলাদেশি।

    এনওসির জন্য শত শত আবেদন

    এনওসি‘র জন্য দিল্লিতে হাই-কমিশন ছাড়াও মুম্বাই এবং কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনেও এনওসি চেয়ে প্রতিদিন শত শত আবেদনপত্র জমা হচ্ছে।

    সবচেয়ে বেশি আবেদন হচ্ছে কলকাতায় বাংলাদেশে ডেপুটি হাই কমিশনে। “প্রতিদিন আমাদের এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ আবেদন পড়ছে, “নাম না প্রকাশ করার শর্তে সেখানকার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান।

    কিন্তু এনওসি দেওয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তের ওপাশে কোয়ারেন্টিন সুবিধার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ভিসার মেয়াদ যাদের শেষ হয়ে যাওয়ার পথে তাদেরকে বা যারা মারা যাচ্ছেন তাদের এবং স্বজনদের আবেদনপত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

    তারপরও, সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পর গত ১৫ দিনে কলকাতা ডেপুটি হাই-কমিশন থেকেই প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফেরার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    তবে কলকাতার ঐ কর্মকর্তা জানান বিশেষ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আজ (রোববার) থেকে ঈদ পর্যন্ত আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার এনওসি দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    ওদিকে যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমান জানিয়েছেন ভারত থেকে ফেরত লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখতে শহরের ১৮টি হোটেল বুক করা হয়েছে। সেগুলোতে স্থান সংকুলান না হওয়ায়, আশপাশের কয়েকটি জেলা শহরের হোটেলেও তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

    ভাইরাস নিয়ে ফিরছেন অনেকে

    শনিবার সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারত থেকে ফেরা দুজনের শরীরে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে যা নিয়ে সরকারের মধ্যে বেশ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    যশোর থেকে সাংবাদিক সাজেদ রহমান বলছেন গত ১৫ দিনে ভারত থেকে ফেরা ২৫ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে তাকে জানিয়েছেন যশোরের আড়াইশ বেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: দিলিপ কুমার রায়। এখনও ঐ হাসপাতালে ১৭ জন ভর্তি রয়েছেন।

    ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখলেই তাদের এই হাসপাতালের নিয়ে আসা হচ্ছে এবং নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় (করোনাভাইরাস) coronavirus আন্তর্জাতিক ক’রো’নায় দিশেহারা বাংলাদেশি বিপর্যস্ত ভারতে রোগীরা
    Related Posts
    Mocca

    খরচ কম হওয়ায় ৫ হাজার হাজিকে টাকা ফেরত দিচ্ছে সরকার

    July 13, 2025
    Babul

    শিল্প খাতের মহানায়ক, সাহসী উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

    July 13, 2025
    river

    এই নারীর হাত দিয়ে ১৮০টিরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে

    July 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Mocca

    খরচ কম হওয়ায় ৫ হাজার হাজিকে টাকা ফেরত দিচ্ছে সরকার

    শেরাটন-এ ‘সি ফুড’ ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ অফার

    হাঁস

    ছবিটি জুম করে দেখুন লুকিয়ে আছে একটি বাঘ, খুঁজে বের করুন

    Tere-Jaisa-Yaar-Kaha-7-1

    উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ রিলিজ, সম্পর্কের জটিলতার গল্পে জমজমাট কাহিনি!

    Namjari

    এখনও যারা নামজারি করেনি তাদের জন্য সরকারের জরুরী নির্দেশনা

    Bank

    ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোনের সুযোগ, ব্রাক ব্যাংকের হোম লোন নিতে করণীয়

    Sap-1

    সাপুড়ে বিন বাজাতেই দোকান থেকে বেরিয়ে এলো মানুষরূপী সাপ

    feni_jobodol_news_pic

    বকেয়া টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পেটালেন যুবদল নেতা

    Khesari-Lal-Yadav

    লেখাপড়া ছেড়ে শিক্ষিকার প্রেমে মজলেন খেসারি লাল যাদব

    ওয়েব সিরিজ

    শরীরের খিদে মেটাতে যা করলেন নার্স, বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না এই সিরিজ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.