জুমবাংলা ডেস্ক : মহামারি করোনা ভাইরাসের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছে স্বল্প সুদে ২৪০ কোটি ডলার ঋন নিতে চায় বাংলাদেশ সরকার।
এরই মধ্যে ৬টি দাতা সংস্থার কাছে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অব্যবহৃত অর্থ এ সংকট মোকাবেলায় খরচ করা হবে বলেও জানাে গেছে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবেলায় বহুজাতিক দাতাগোষ্ঠীর থেকে বাজার সহায়তা নিতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলারে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে চাওয়া হয়েছে ৫০ কোটি ডলার। ৭৫ কোটি ডলার আশা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর কাছ থেকে।
২৫ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে চীনের ঋদ্যোগে গঠিত এশিয়ান ইনফাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেসমেন্ট ব্যাংকে। এছাড়া ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) কাছে ১০ কোটি ডলারের ঋণ আশা করা হচ্ছে। আইটিএফসি’র কাছে চাওয়া হচ্ছে ৫ কোটি ডলার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, করোনার এই সময়ে অর্থনৈতিক সব কাযক্রম বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয় অনেকাংশে কমে গেছে। বছর শেষে যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১ লাখ কোটি টাকারও কম হতে পারে আশংকা করেছে গবেষণা সংস্থাগুলো।
সংকটের এ ব্যয় মেটাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে যে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছিল তা করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি দরিদ্র মানুষদের জন্য খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয়ও কাটছাট করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমানের জরুরি পরিস্থিতিতে চলমান প্রকল্পগুলো থেকে কিভাবে আর্থিক সাশ্রয় করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এসময় সরকারকে মিতব্যয়ীতা পালন করতে হবে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel