জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬২ জেলায় করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সারা দেশে চলছে সশস্ত্র বাহিনীর এই কার্যক্রম।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সারা দেশে ৬২ জেলায় সক্রিয় ছিলো সেনাবাহিনীর ৩০৫টি দল। তারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান করে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি ‘সামাজিক দূরত্ব’ সৃষ্টিতে সহায়তা করে আসছে।
এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় জীবাণুনাশক পানি স্প্রে, বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাপনা তৈরি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আরো বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে সশস্ত্র বাহিনী। এ কাজে সারা দেশে নিয়োজিত ছিলো ৩ হাজারের বেশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।
করোনা মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় টহল জোরদার, জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার ও দুঃস্থদের ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। একইভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তাদের ঘাঁটির নিকটবর্তী স্থানগুলোতে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পায়ে হেঁটে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে যায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে তারা। সেখানে কারো হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘ঘনঘন হাত ধুই, করোনা থেকে নিরাপদ রই’। অপর এক প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘বিদেশ থেকে এসেছি যারা, কোয়ারেন্টাইনে থাকব তারা’। এ ছাড়াও করোনা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে লেখা অপর এক প্ল্যাকার্ডে বলা হয়েছে ‘আতঙ্ক না ছড়াই, সতর্ক থাকি সাহায্য করি’।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় ২৪ মার্চ থেকে দেশের সকল বিভাগ এবং জেলায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সমন্বয় শেষে ২৫ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী পুরোপুরি কাজ শুরু করে।
নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কাজ করছে। অন্যদিকে বিমান বাহিনী হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও জরুরী পরিবহন কাজে নিয়োজিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।