করোনার হানা দেশের ৬২ জেলায়, বাকি শুধু রাঙামাটি ও নাটোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশের ৬১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়লেও করোনামুক্ত ছিল রাঙামাটি, সাতক্ষীরা ও নাটোর জেলা। কিন্তু এই ভাইরাসের ছোবল থেকে শেষ রক্ষা হলো না সাতক্ষীরা জেলার। এই জেলায় গতকাল প্রথম একজনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন, দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজন আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৫ জনে। নতুন মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং দুইজন নারী।  নতুন মারা যাওয়া পাঁচজনই ঢাকার।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৫৫২ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলেন মোট ৮৭৯০জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ৮৭৯০জনের মধ্যে ৪৩১০ জন অর্থাৎ ৫৬.০৩ শতাংশ রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৭৫ জনের মধ্যে ৯৫ জনই রাজধানী ঢাকার।

রাজধানীর বাইরে ঢাকা জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৯ জন।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। এই জেলায় ৯৮৭জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।আক্রান্ত ব্রক্তিদের মধ্যে ৩৯জন মারা গেছেন।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২২জন। মুন্সীগঞ্জে ১২২, নরুসংদীতে ১৫১, কুমিল্লায় ১০৪ এবং ময়মনসিংহ জেলায় ১৪৫ জন। বাকিরা দেশের ৫৫ জেলায়।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ তিনজন রোগীকে শনাক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সেদিন৷ পরের ছয়দিন নতুন কোন রোগী ধরা পড়েনি৷ এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ। দেশে করোনায় প্রথম মারা যায় ১৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যায়ও বেড়েই চলেছে।