জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের অন্য সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এপর্যন্ত ৮৩ হাজার ৫০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগৃহীত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় চীন (৮১,৭৮২) এবং ইতালিকে (৮০,৫৮৯) পেছনে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২০০ জনের।যেখানে চীনে ৩ হাজার ২৯১ জন এবং ইতালিতে ৮ হাজার ২১৫ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুতই’ স্বাভাবিক হয়ে আসবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ভবিষ্যদ্বাণীর পরপরই করোনা আক্রান্তের এ সংখ্যা প্রকাশ পায়।
হোয়াইট হাউজ কী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে?
বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান যে দেশটির ৫০টি রাজ্যেই এখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সারাদেশে ৫ লাখ ৫২ হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বেইজিংয়ের প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে সন্দেহও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আপনি সঠিকভাবে জানেন না চীনে আসল সংখ্যাটা কত।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ বিষয়ে শি জিনপিং’এর সাথে ফোনে কথা বলবেন।
অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট কী মনে করেন?
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যকেই লকডাউন করা হয়েছে এবং বেশকিছু রাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইস্টার সানডে’র দিন, ১২ই এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
শুরুতে সমালোচিত হলেও এখন ঐ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হোক, তাই চাইছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার জানা যায় যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ৩৩ লাখ অ্যামেরিকান নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “তাদের (অ্যামেরিকানদের) কাজে ফিরে যেতে হবে, আমাদের দেশকে কাজে ফিরতে হবে।”
“ফিরে যেতে হবে বললে অনেকেই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন। কাজে ফিরলেও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলবেন।”
তিনি জানান আগামী সপ্তাহে এই পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট কি মানুষকে কাজে ফেরার আদেশ দিতে পারেন?
না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের গভর্নরদের।
তার অর্থ হলো ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কবে উঠিয়ে নেয়া হবে, তা গভর্নরদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ২১টি অঙ্গরাজ্য করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি কী হতে পারে?
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার মাসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন।
ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের ঐ গবেষণায় ধারণা করা হয় যে মহামারির চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে ২,৩০০ মানুষ মারা যেতে পারে, যেটি এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।