জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে টানা তৃতীয়দিনে করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৭৬৮ জন নতুন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল বুধবার এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ নয়টি ল্যাবে ২ হাজার ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৭৬৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৭৪ জন এবং চৌদ্দ উপজেলার ২৯৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৫৩ জন, ফটিকছড়িতে ৪২ জন, পটিয়ায় ৩৬ জন, মিরসরাইয়ে ২৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৪ জন, বোয়ালখালীতে ১৯ জন, সীতাকু-ে ১৮ জন, রাউজানে ১৪ জন, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশে ১২ জন করে, বাঁশখালীতে ৯ জন এবং আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৮ হাজার ৫৫৫ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫২ হাজার ৪২৩ জন ও গ্রামের ১৬ হাজার ১৩২ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় শহরের ৩ জন ও গ্রামের ৭ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৮১০ জন হয়েছে। এতে শহরের ৫১১ জন ও গ্রামের ২৯৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১৯ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৬২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৭ হাজার ১০৫ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৪ হাজার ৫১৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৮৭ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৩৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৭৫৬ জন।
উল্লেখ্য, গতকালসহ পরপর তিনদিন চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হলো। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম চৌদ্দ দিনে ১০৩ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ জন মারা যান গত ১০ জুলাই। এর আগ পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল ১১ জনের মৃত্যুই ছিল সবচেয়ে বেশি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় এন্টিজেন টেস্টে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১১২ ও গ্রামের ২১৭ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১৩ ও গ্রামের ৫১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১০৩ জনের নমুনায় শহরের ৫৭ ও গ্রামের ৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২০ টি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। ২০ নমুনারই বাহক শহরের বাসিন্দা।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১১৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৫৫ ও গ্রামের ১৬ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১১ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ টিসহ ৪২ টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৪ নমুনায় গ্রামের ২ টিসহ ২৭ টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭০ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪০ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ২০ টি নমুনায় শহরের ১২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এদিন সরকারি তিন ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এন্টিজেন টেস্টে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ৪৮, চমেকে ৬১ দশমিক ১৬, আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ৬২ দশমিক ২৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৭ দশমিক ৮৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৭ দশমিক ১৪ এবং মেডিকেল সেন্টারে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।