জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময় করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৮ ও চার উপজেলার ৬ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৭৭ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৩৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারায় ৩ জন, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকু-ে ১ জন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি পরীক্ষাগার আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৬৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন করে শনাক্ত হন। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৪১৮ নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় ভাইরাস চিহ্নিত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ২১ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে ভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে ৩ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬, নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৭, বেসরকারি মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১১ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যবরেটরিতে ১৩৭ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ২৪, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৭৪, চমেকহা’য় ৮ দশমিক ৮২, শেভরনে ০ দশমিক ৪৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ২৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ দশমিক ৫২ ও এন্টিজেন টেস্টে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চবি, সিভাসু, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে দশমিক ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।