জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ১৪৪ জন শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিসহ নগরীর ৯টি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ১৪৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৯৪ ও ৯ উপজেলায় ৫০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ২০, সীতাকু-ে ৮, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ৬, হাটহাজারী ও সাতকানিয়ায় ৩, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ১০৭ ও গ্রামের ২৭ হাজার ২৮ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৬ জন ও গ্রামের ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২২৫ জন। এতে শহরের ৬৮৮ ও গ্রামের ৫৩৭ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬৩৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৯৫৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৭৭৬ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬১ হাজার ১৮২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৭৮ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৭৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৫৯১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল ২৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ৭ ও গ্রামের ১২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৪ ও গ্রামের ৯ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৪ জনের নমুনায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ১৬ জনের শরীরে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১৪ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের একজনসহ ১৩ জন ভাইরাসবাহক বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৮টি নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৬ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ১৭টি, শেভরনে ৯৪টি নমুনার মধ্যে শহরের একটি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৯টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের একটি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৯২টি নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ৮টতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চট্টগ্রাম জেলার কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, চমেকে ১৪ দশমিক ২০, চবি’তে ২৮ দশমিক ০৭, এন্টিজেন টেস্টে ১১ দশমিক ৪০, আরটিআরএলে ২৫ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ১৩ দশমিক ৪৯, শেভরনে ১ দশমিক ০৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৪৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৩ দশমিক ০৭ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।