
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে গতকালও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতুন ১২৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সুস্থ্য হয়ে ওঠেন ৪৬৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১২৯ বাহকের মধ্যে শহরের ৮৯ জন এবং এগারো উপজেলার ৪০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৪ হাজার ২২১ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪৩ হাজার ৩৮ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ১৮৪ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৪০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ বাঁশখালীতে ১০, সীতাকু-ে ৯, ফটিকছড়িতে ৬, মিরসরাই ও রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন করে, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজান, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল শহর ও গ্রামের একজন করে করোনা রোগি মারা যান। দু’জনই পুরুষ। মৃতের সংখ্যা এখন ৬৩১ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৫১ জন ও গ্রামের ১৮০ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৪৬৮ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫৮৬ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৬ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৩৭ হাজার ৬৩০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৬২ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল দুই জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম সাতদিনে ৯ করোনা রোগি মারা যান। তবে আক্রান্তের চেয়ে আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যাই বেশি। আইসোলেশনে যাওয়া নতুন রোগির চেয়ে করোনামুক্তির ছাড়পত্র গ্রহীতাও বেশি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ২৫ ও গ্রামের ৮ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৭ ও গ্রামের ৬ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৫টি নমুনায় গ্রামের ৭টি ও শহরের ৮টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আরটিআরএলে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জন, মেডিকেল সেন্টারে ১১টি নমুনায় শহরের ৩ জনের শরীরে ভাইরাসে উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নতুন করে যুক্ত এপিকে ৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে তিনটিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এদিন চট্টগ্রামের ১০১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় বাঁশখালীর ৭ জন পজিটিভ পাওয়া যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৩ দশমিক ১১, চমেকে ১৭ দশমিক ১৬, চবি’তে ১৫ দশমিক ৭৯, আরটিআরএলে ৩৫ দমমিক ২৯, শেভরনে ৬ দশমিক ০৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৬৬, মেডিকেল সেন্টারে ২৭ দশমিক ২৭, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৬ দশমিক ৯৩ এবং এপিকে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।