নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) বাংলাদেশে কয়েক লাখ মৃত্যুর পূর্বাভাসকে অনুমান নির্ভর বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, এটি খুব দুঃখজনক। অনুমান থেকে একজন বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে নাকি ২০ থেকে ৫০ লাখ লোক মারা যাবে। ইমপেরিয়েল কলেজের যে মডেলের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে সেই কলেজ পরপর ১০টি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ভিন্ন ধারণা নিয়ে। সবচেয়ে খারাপটা নিয়ে এখানে প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে বিবিসির প্রতিবেদনে ৩০ লাখ লোক মারা যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে দেখা গেলো মাত্র ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আতঙ্ক ও গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়। যারা এটিকে খুব বড় করে ফলাও করে বলছেন তাদের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা ও বিদেশিদের বাংলাদেশ ছাড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে আড়াই হাজার বাংলাদেশি আটকে পড়েছে। এমনকি অনেকে গেছেন ফ্লাইট যখন বন্ধ হচ্ছিল তখন। অনেকে এখন টাকা খরচ করেও আসতে চায়। ভারত বলেছে, ১৪ তারিখ পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন।
মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডও খুব কড়া। ফ্লাইট গেলে সেখানে ১৪ দিন বসে থাকতে হবে। কারো ভাইরাস ধরা পড়লে বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকানদের মধ্যে যারা গেছেন তারা ক‚টনীতিক খুব কম। বেশিরভাগই বাংলাদেশি। জাপানিজরা যারা গেছেন তারা এ দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন।
তিনি বলেন, চীন বলেছে যে তারা বাংলাদেশকে আরো সাহায্য দিতে প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের কারণে বড় প্রকল্পগুলোর কাজে সমস্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চীন ও জাপান বলেছে যে ভাইরাস চলে গেলে অধিকতর লোক দিয়ে যথাসময়ে কাজ শেষ করবো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা কোনো কোনো দেশকে সাহায্য করেছি। আরো করবো। এ দেশে এখন কয়েক লাখ পিপিই তৈরি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা এখন অনেক কিছু দিতে পারবো। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।