Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home করোনা : জাপানে মৃত্যুর হার খুবই কম- রহস্যটা কী?
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) আন্তর্জাতিক

    করোনা : জাপানে মৃত্যুর হার খুবই কম- রহস্যটা কী?

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 5, 20208 Mins Read
    Advertisement

    রুপার্ট উইংফিল্ড হেইস : জাপানে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর সংখ্যা কেন এত কম? মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন খারাপ শোনালেও এ নিয়ে এখন নানা তত্ত্ব আলোচনায় উঠে আসছে। কেউ বলছে এর পেছনে রয়েছে জাপানীদের মন-মানসিকতা, তাদের সংস্কৃতি, আবার কারো মত হলো জাপানীদের ইমিউনিটি অসাধারণ।

    কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার ওই অঞ্চলে জাপানেই যে সর্বনিম্ন তা কিন্তু নয়। মৃত্যুর খুবই কম হার নিয়ে ওই এলাকায় বরং গর্ব করার মত দেশগুলো হলো দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং ভিয়েতনাম।

    কিন্তু ২০২০ এর গোড়ার দিকে, জাপানে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল দেশটিতে ওই সময়ে সার্বিকভাবে গড় মৃতের হারের চেয়ে কম। এপ্রিল মাসে সম্ভবত কোভিডের কারণে টোকিও-তে গড় মৃত্যুর হার ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেশি। তারপরেও বছরের প্রথম দিকের হিসাবের ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, জাপানে এ বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৯এর থেকে কম হবার সম্ভাবনাই বেশি।

       

    এটা খুবই বিস্ময়কর, কারণ কোভিড-১৯এ মৃত্যুর হার বাড়ার অনেকগুলো সম্ভাবনা জাপানের ক্ষেত্রে রয়েছে। অথচ জাপান কিন্তু তার প্রতিবেশি দেশগুলোর মত সর্বশক্তি দিয়ে এই ভাইরাস মোকাবেলায় নামেনি।

    জাপানে তখন কী ঘটেছে?

    ফেব্রুয়ারি মাসে উহানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন তুঙ্গে, যখন শহরটির হাসপাতাল রোগীর ভিড়ে উপচে পড়েছে, যখন চীন থেকে ভ্রমণের ব্যাপারে সারা বিশ্ব দেয়াল তুলে দিয়েছে, তখন জাপান তার সীমান্ত বন্ধ করেনি।

    ভাইরাস যখন দ্রুত ছড়াচ্ছে, তখন অল্প দিনের মধ্যেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে কোভিডে মারা যাচ্ছে মূলত বয়স্করা, জনসমাগম থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি এবং আক্রান্তের কাছাকাছি বেশি সময় কাটালে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপক আশংকা।

    জাপানের ক্ষেত্রে এর সবগুলো রয়েছে অর্থাৎ মাথা পিছু বয়স্ক মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর যে কোন দেশের চেয়ে জাপানে বেশি। জাপানের বড় বড় শহরগুলোতে জনসংখ্যা ব্যাপক- শহরগুলো মানুষের ভিড়ে ঠাসা।

    টোকিওতে বাস করে তিন কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এবং বেশিরভাগ মানুষের জন্য চলাচলের একমাত্র বাহন হল ভিড়ে ঠাসা শহরের ট্রেন পরিষেবা।

    জাপান এমনকী সেসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ – “টেস্ট, টেস্ট, টেস্ট” উপেক্ষা করেছে। এমনকী এখনও জাপানে পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৪৮ হাজার মানুষকে – যা জাপানের জনসংখ্যার ০.২৭%।

    ইউরোপের দেশগুলোতে যে মাত্রায় লকডাউন দেয়া হয়েছে, জাপানে সেভাবে কোন লকডাউন হয়নি।শুধু এপ্রিলের গোড়ায় জাপানের সরকার একবার জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ঘরের ভেতর থাকার জন্য কোন বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি হয়নি । শুধু অনুরোধ জানানো হয়েছিল এবং সেটা ছিল মানুষের স্বেচ্ছানির্ভর।জরুরি নয় এমন দোকানপাট ও ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তা না মানলে কোন আইনি ব্যবস্থা বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

    তাহলে অন্যান্য অনেক দেশের মত সীমান্ত বন্ধ না করে, কঠোর লকডাউন না দিয়ে, ব্যাপক হারে পরীক্ষা না চালিয়ে আর কড়া কোয়ারেন্টিন না দিয়েও জাপান কীভাবে মৃত্যুর সংখ্যা এত কম রাখতে পারল?

    জাপানে প্রথম কোভিড ধরা পড়ার ৫ মাস পরেও, জাপানে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা – ৩০শে জুনের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী বিশ হাজারের নিচে, মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের কম।

    জাপানে ঐ জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দ্রুত ফিরে এসেছে।

    জাপানে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ওপর চালানো টেস্টিং এবং টোকিওতে সরকার এ পর্যন্ত যেসব মানুষকে অপরিকল্পিতভাবে পরীক্ষা করেছে, সেসব পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে খু্ব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে এই জীবাণু রয়েছে।

    দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনেজা আবে গত মাসের শেষের দিকে যখন জরুরি অবস্থা তুলে নেবার কথা ঘোষণা করেন তখন তিনি বেশ গর্বের সঙ্গে এটাকে “জাপান মডেল” হিসাবে উল্লেখ করেন এবং বলেন অন্য দেশের জাপান থেকে শেখা উচিত।

    তাহলে জাপানের বিশেষত্বটা কোথায়?

    জাপানের উপ প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর কথা যদি আপনি বিশ্বাস করতে চান তাহলে তার মত হল এটা জাপানীদের “আদর্শ আচরণের” কারণে। তিনি বলেন জাপানের সাফল্যের কারণ নিয়ে অন্য দেশের নেতারা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন। তার উত্তরকে অনেকেই অবশ্য কিছুটা তির্যক মনে করেন- সেটা ছিল:

    “আমি তাদের বলেছিলাম: ‘আপনার এবং আমার দেশের মানুষের আচরণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’ তারা শুনে চুপ করে গিয়েছিলেন।”

    মি. আসো যে শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন সেটা হল ‘মিন্ডো’ -তিনি বলেছিলেন তফাৎটা ‘মিন্ডোতে’- মিন্ডোর আক্ষরিক অর্থ “মানুষের মান” যদিও অনেকে বলছেন তিনি সংস্কৃতিগত মানের কথা বলেছেন।

    ঐতিহাসিকভাবে জাপানীরা মনে করে জাতি হিসাবে তারা উঁচুতে এবং সাংস্কৃতিক আভিজাত্যের বিষয়টাও তাদের মজ্জাগত। তবে তার এই মন্তব্যের জন্য মি. আসো সমালোচিত হয়েছেন।

    তবে তার মন্তব্যের বিষয়টি বাদ দিলেও জাপানের বহু মানুষ এবং অনেক বিজ্ঞানীও মনে করেন জাপানের ক্ষেত্রে একটা কিছু আছে যা আলাদা। একটা কিছু যা কোভিড-১৯ থেকে জাপানের মানুষকে রক্ষা করেছে।

    জাপানের মানুষের কী বিশেষ ইমিউনিটি আছে?

    টোকিও ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তাতসুহিকো কোদামা জাপানের রোগীদের ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন। তার ধারণা জাপানে হয়ত আগে কোভিড হয়েছে। কোভিড-১৯ নয়, তবে একইধরনের জীবাণুর অতীত সংক্রমণ জাপানের মানুষকে “ঐতিহাসিক ইমিউনিটি” দিয়েছে।

    তার ব্যাখ্যা এরকম: মানুষের শরীরে যখন কোন ভাইরাস ঢোকে তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তখন শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং ঐ অ্যান্টিবডি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।

    অ্যান্টিবডি হয় দুই ধরনের – আইজিএম এবং আইজিজি। আক্রমণকারী ভাইরাস নতুন না পুরনো তার ওপর নির্ভর করে কোনধরনের অ্যান্টিবডি সেক্ষেত্রে কাজ করবে।

    তিনি বলছেন, “কোন ভাইরাস যদি প্রথমবার আক্রমণ করে তখন প্রথমে সক্রিয় হয়ে ওঠে আইজিএম অ্যান্টিবডি, পরবর্তীতে সক্রিয় হয় আইজিজি। আর কেউ যদি এমন ভাইরাসের শিকার হয়, যে ভাইরাস শরীরে আগেও আক্রমণ করেছিল, তখন সেক্ষেত্রে ইমিউন ব্যবস্থা পরিচিত ভাইরাসের মোকাবেলায় দ্রুত সক্রিয় হয়ে আইজিজি অ্যান্টিবডি ব্যবহার করে।”

    অধ্যাপক তাতসুহিকো কোদামা বলছেন, “পরীক্ষার ফলাফল দেখে আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সব রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমেই দ্রুত সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে আইজিজি অ্যান্টিবডি, এরপর আইজিএম অ্যান্টিবডিও সক্রিয় হয়েছে কিন্তু সেটা পাওয়া গেছে খুবই সামান্য পরিমাণে। এর মানে হল আগে একইধরনের ভাইরাস এদের সবার শরীরে ঢুকেছিল।”

    তিনি আরও মনে করছেন ওই এলাকায় যেহেতু আগে সার্স-এর সংক্রমণ হয়েছিল তাই শুধু জাপানেই নয় চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম দেখা গেছে।

    তবে তার এই তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন অন্য বিশেষজ্ঞরা । লন্ডনে কিংস কলেজের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক এবং ব্রিটিশ সরকারের একজন সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা অধ্যাপক কেঞ্জি শিবুয়া বলছেন কোন একটা অঞ্চলের মানুষের ইমিউনিটি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকতে পারে, জিনগত কারণেও কারো কারো ইমিউনিটি বেশি থাকতে পারে, কিন্তু জাপানীদের ঐতিহাসিকভাবে বিশেষ কোন জিন আছে এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।

    তিনি মনে করেন যেসব দেশ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশি সফল হয়েছে, তাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে সামাজিক ট্রান্সমিশান বা সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে কমাতে পারা।

    জাপানের মানুষ ১৯১৯এর ফ্লু মহামারির পর থেকে একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেস মাস্ক পরা শুরু করেছে। তারা একশ বছরের এই অভ্যাস এখনও ছাড়েনি। জাপানে কারও কাশি হলে বা ঠাণ্ডা লাগলে, সে অন্যদের সুরক্ষিত করতে সবসময় মাস্ক পরে।

    “মাস্ক সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা শারীরিক প্রতিবন্ধক বলে আমি মনে করি। এটা সংক্রামক ভাইরাস সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন রাখার একটা খুবই ভাল হাতিয়ার,” বলছেন হংকং ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ পাবলিক হেলথের পরিচালক এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা বিশেষজ্ঞ কেইজি ফুকুদা।

    জাপানের ট্র্যাক এবং ট্রেস ব্যবস্থা অর্থাৎ সংক্রমিতকে খুঁজে বের করে তার সংস্পর্শে কারা এসেছে সেটা নজরে রাখার ব্যবস্থাও বহু পুরনো। ১৯৫০এর দশকে জাপান যখন যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে লড়ছিল তখন তারা এই ব্যবস্থা চালু করে।

    সরকার নতুন কোন জীবাণুর সংক্রমণের খবর আসলে আক্রান্তদের চিহ্ণিত করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছিল। তাদের কাজ যে কোন নতুন সংক্রমণের খবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো।

    গোড়াতেই সতর্কতা

    এই মহামারির বেশ শুরুর দিকে জাপান দুটো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আবিষ্কার করেছিল।

    তারা দেখেছিল একটা বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যেই সংক্রমণ ধরা পড়ছে এবং তারা একইধরনের জায়গায় যায়।

    “আমরা দেখেছিলাম বেশিরভাগ আক্রান্ত মানুষ গানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সেখানে জোরে জোরে গান গাওয়া হয়- হৈচৈ চিৎকার হয়,” বলেন কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষক ড. কাজুয়াকি জিন্দাই। “আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলি এধরনের জায়গায় যাওয়া বন্ধ করতে হবে।”

    তার সহকর্মীরা দেখেন “কারাওয়াকি ধাঁচের গানের জলসা, পার্টি বা ক্লাবে হৈচৈ চিৎকার করে আনন্দ উল্লাস, পানশালায় গালগল্প এবং জিমে ব্যায়াম – যেখানে মানুষ পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসে, মেলামেশা করে এবং জোরে কথা বলে – জোরে নি:শ্বাস নেয়, সেসব জায়গায় ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি।”

    দ্বিতীয়ত তারা দেখে যে যারা আক্রান্ত তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে। সার্স কোভি-২ যখন হয়, তখন গবেষণায় দেখা গিয়েছিল আক্রান্তদের মধ্যে ৮০% ভাইরাস ছড়ায় না, তাদের মাত্র ২০% খুবই সংক্রামক হয়।

    এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সরকার জাতীয় পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালায় এবং বলে তিনটে জিনিস যেন তারা এড়িয়ে চলে:

    বদ্ধ জায়গা যেখানে বাতাস চলাচল ভাল না

    ভিড়ে ভর্তি জায়গা যেখানে অনেক মানুষ

    খোলা নয় এমন জায়গায় মুখোমুখি বসে গল্প করা

    ড. জিন্দাই বলছেন. “আমার মনে হয় লোককে ঘরবন্দী না করে এই পরামর্শ কাজে দিয়েছে।”

    লোকে সতর্ক হয়েছে, সংক্রমণ এড়িয়েছে এবং সংক্রমণ কম হবার কারণে মৃত্যুও হয়েছে কম। যদিও মার্চের মাঝামাঝি টোকিওতে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ৭ই এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ঘরে থাকা তিনি বাধ্যতামূলক করেননি। শুধু মানুষকে বলেছিলেন “সম্ভব হলে ঘর থেকে বেরবেন না।”

    আমরা জানি হৃদরোগ, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ভয়ের কারণ। জাপানে হৃদযন্ত্রের অসুখ খুবই কম। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জাপানে হদরোগ এবং স্থূলতার সমস্যা সবচেয়ে কম।

    তবে অধ্যাপক ফুকুদা বলছেন, জাপানে মৃত্যুর হার যে এত কম তার পেছনে এগুলোই কারণ জোর গলায় এমন কথা বলা যাবে না। এর পেছনে আরও অন্য কারণ থাকাও সম্ভব।

    ‘জাপান মডেল’

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গর্ব করে যে “জাপান মডেলের” কথা বলেছেন তার থেকে কি শিক্ষা নেবার কিছু আছে?

    জাপান পৃথিবীর আর পাঁচটা দেশেরই মত। রোগ বিস্তারের যে চেইন সেটাকে ভাঙতে পারার মধ্যেই রয়েছে এই রোগ ঠেকানোয় সাফল্যের চাবিকাঠি।

    জাপানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল সেখানকার মানুষের মধ্যে নির্দেশ মানার সংস্কৃতি। সরকার জানে তারা জনগণকে কিছু বললে জনগণ তা শুনবে এবং মানবে।

    জাপানের সরকার মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়নি, থাকা ভাল বলে পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু জনগণ ঘরে থেকেছে।

    অধ্যাপক শিবুয়া বলছেন, “এটা বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার। জাপানে মানুষকে ঘরে থাকতে বলাটা প্রকৃত লকডাউনের চেহারা নিয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ জারি না করেই সরকার জনগণের সহযোগিতা পেয়েছে।”

    সরকার মানুষকে বলেছে- নিজের যত্ন নিন, ভিড় পরিহার করুন, মাস্ক পরুন, হাত ধোন- মানুষ অক্ষরে অক্ষরে এই সব কটি পরামর্শ নিজেদের স্বার্থেই মেনে চলেছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    আইফোন ১৭

    আইফোন ১৭ কেনা নিয়ে দোকানের সামনে ক্রেতাদের তুলকালাম কাণ্ড

    September 19, 2025
    নীতা আম্বানির ব্যাগ

    কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি নীতা আম্বানির ব্যাগ, দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে

    September 19, 2025
    বিশাল বড় স্তন

    ১১ কেজি ওজনের বিশাল বড় স্তন নিয়ে বিপাকে যুবতী

    September 19, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Disney+ Faces Subscriber Drop After Jimmy Kimmel Suspension

    Disney+ Faces Subscriber Drop After Jimmy Kimmel Suspension

    Server Issues Disrupt EA Sports FC 26 Online Play

    Server Issues Disrupt EA Sports FC 26 Online Play

    ATC Warns Spirit Pilots After Air Force One Near Miss

    ATC Warns Spirit Pilots After Air Force One Near Miss

    Alice in Borderland Season 3 Early Reviews Praise Thrilling Return

    Alice in Borderland Season 3 Early Reviews Praise Thrilling Return

    NVIDIA CEO Jensen Huang: x86 and ARM to Coexist in Data Centers

    NVIDIA CEO Jensen Huang: x86 and ARM to Coexist in Data Centers

    আইফোন ১৭

    আইফোন ১৭ কেনা নিয়ে দোকানের সামনে ক্রেতাদের তুলকালাম কাণ্ড

    Jimmy Kimmel's Health Update Amid Show Suspension

    Jimmy Kimmel’s Health Update Amid Show Suspension

    DiCaprio, Lawrence to Star in Scorsese Ghost Story Film

    DiCaprio, Lawrence to Star in Scorsese Ghost Story Film

    How to Get Megazord Mythic in Fortnite Chapter 5 Season 2

    How to Get Megazord Mythic in Fortnite Chapter 5 Season 2

    Jaylen Waddle Injury Status for Dolphins vs Bills a Game-Time Decision

    Jaylen Waddle Injury Status for Dolphins vs Bills a Game-Time Decision

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.