চীনের সীমান্তবর্তী শহর সুইফেনহেতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ শহরটিকে ‘সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে।
কোভিড-১৯ এর প্রকোপ কমে আসায় দেশটির অন্যান্য অঞ্চল থেকে একে একে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ উঠলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার সীমান্তলাগোয়া সুইফেনহেতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল।
সুইফেনহে শহরটি বেইজিং থেকে এক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত। কর্তৃপক্ষ শহরটির প্রায় সব বাসিন্দাকেই ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাতায়াতের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হলেও পণ্যসামগ্রীর চলাচল অব্যাহত থাকবে।
আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৬০০ শয্যার একটি হাসপাতাল বানানোর কাজ চলছে বলেও শহরটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চীন বুধবার বিদেশফেরত যে ৫৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল, তার মধ্যে ২৫ জনই সুইফেনহে হয়ে দেশে ঢুকেছেন, বলেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
আক্রান্ত এ চীনা নাগরিকরা সবাই মস্কো থেকে ভ্লাদিওভস্তক এসেছিলেন, রাশিয়ার এ শহরটি সুইফেনহে থেকে মাত্র ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।
নতুন আক্রান্ত সব রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
একই পথ দিয়ে সুইফেনহেতে আসা আরও ৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও উপসর্গ না থাকায় তাদের আলাদা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সুইফেনহের স্থানীয় সরকার জানায়, মঙ্গলবার থেকেই তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; যদিও মালবাহী যানগুলো এ নির্দেশের আওতামুক্ত।
লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এক লাখ বাসিন্দার সুইফেনহেতে উহানের মতো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি; তিনদিন পরপর সীমান্তবর্তী এ শহরটির প্রতিটি বাড়ির একজনকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন আক্রান্তদের চিকিৎসায় শহরটির একটি ভবনের ভেতর বানানো অস্থায়ী হাসপাতালও চলতি সপ্তাহে খুলে দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“অবশ্যই আমি আতঙ্কিত। অনেকেই শহর ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু দোকানের দেখভালের জন্য আমদের থেকে যেতে হয়েছে,” বলেছেন এক নারী।
শহরটির এক রেস্তোরাঁ কর্মী বলছেন, সাধারণত এই সময়েই তাদের ব্যবসা চাঙ্গা থাকে, কখনও কখনও দিনে হাজারখানেক ক্রেতারও দেখা পাওয়া যেত। আর এবার করোনাভাইরাসের কারণে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। কবে খুলবে, তারও কোনো ইঙ্গিত নেই।
এরপরও সরকারের পদক্ষেপে অসন্তোষ নেই তার। জানালেন, লকডাউনের কারণে তিনি নিজেকে ‘নিরাপদ’ মনে করছেন। পরিস্থিতি ঠিকমতো সামলাতে পারবে, সরকারের প্রতি এমন আস্থাও আছে এ রেস্তোরাঁ কর্মীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।