জুমবাংলা ডেস্ক: বাগেরহাট শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন করোনা পরিস্থিতির কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা বই থেকে দূরে না রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করেই মায়েদেরকে এখন শিক্ষিকার ভূমিকায় এনে লেখাপড়া অব্যহত রেখেছে।
সপ্তাহে দু’দিন স্বাস্থবিধি মেনে মায়েদেরকে স্কুলে এনে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আর বাড়িতে গিয়ে মায়েরাই নিজ-নিজ সন্তানের শিক্ষিকার ভূমিকা পালন করছেন। বাড়িতে বসে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও দিয়েছে। মা শিক্ষিকা হিসেবে পরীক্ষায় পরিদর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায়-বাসায় পরিদর্শন করছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজা জামান শিল্পী জানান, করোনা পরিস্থিরির কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা যেনো বই থেকে দূরে না থাকে, সেজন্য আমরা মে মাস থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সাজেসন পৌঁছে দিয়েছি। আমরা বাসায় রেখেই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। তিনি জানান, পরীক্ষা শুরু হলে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছি ছাত্র-ছাত্রীরা টেবিলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে আর মা শিক্ষিকার মত তাদের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে, অথচ তার সন্তান লিখতে পারছেনা, মা কিন্তু তাকে বলে দিচ্ছে না। এটাই আমাদের অর্জন। আমরা মাকে এই জায়গায় আনতে পেরেছি। তিনি আরো জানান , সরকার যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুলবে ততদিন এভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে লেখা পড়া করবে।
পুরাতন বাজার এলাকার অভিভাবক স্বপ্না রাণী পাল বলেন, শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন করোনা পরিস্থিতির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এতে আমরা খুশি। তিনি বলেন, আমার সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে আর আমি নিজেই শিক্ষিকার ভূমিকা পালন করছি এটি আমার কাছে বড় পাওয়া। শিশু অংগন বিদ্যানিকেতনের ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে সাধুবাধ জানাই। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।