ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সব করোনা রোগীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাদের গতিবিধি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক তথ্য তাদের কাছে এসেছে। করোনা পরীক্ষা করার আগে ওই ব্যক্তি কোথায় গেছেন, কার সংস্পর্শে এসেছেন সব খবরই জানা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে।
ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধেই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থায় করোনা রোগী যেসব স্থানে গিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে আসতে পারেন সেসব স্থান চিহ্নিত করা সহজ হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঐ স্থানকে জীবাণুমুক্তকরণ করে করোনারা প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যাবে। তাছাড়াও সেখানে আরো যেসব মানুষ ভ্রমণ করেছে এবং করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছে তাদেরক চিহ্নিত করে সহজেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আরো জানান, আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই ফোন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকবে। এতে করোনা রোগীদের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হলেও বৃহত্তর স্বার্থে তা করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
তবে করোনা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই শুধুমাত্র ফোন ট্র্যাক করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রোববার ইসরাইলে নতুন করে ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে।
প্রসঙ্গত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এখন পর্যন্ত ১৫৭ দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছে ৩ হাজার ২১৩ জন।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
