জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে ক’রোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যাও পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
সোমবার দুপুরে ক’রোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, গত এক মাসের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আবারও ক’রোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় আমরা দেখতে পাচ্ছি। ফলে হাসপাতালে দ্রুতই শয্যা সংখ্যা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালের আইসিইউ পূরণ হয়ে গেছে। বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউও পূরণ হয়ে যাচ্ছে। মাত্র ২৮১টি শয্যা খালি রয়েছে। গত মাসের তুলনায় প্রায় ৫০ ভাগ শয্যাই পূরণ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর যেসব জায়গাতেই সংক্রমণ বেশি, সেগুলোতেই মৃত্যু বেশি।
তিনি বলেন, কোভিশিল্ড টিকা বাংলাদেশে দেওয়ার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকোর মাধ্যমে চুক্তি করেছিল সরকার। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা আনার চুক্তি হয়েছিল।
রোবেদ আমিন বলেন, গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ।
তিনি বলেন, সবমিলিয়ে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা। এখন টিকা মজুত আছে আর মাত্র এক লাখ তিন হাজার ৪৭৫ ডোজ।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে ফের একবার ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ওই ঘোষণা দেন।
ক’রোনা জর্জরিত শিল্পগুলিকে ফের একবার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে ১.১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ গ্যারান্টি স্কিম চালু করবে কেন্দ্র। এর মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্যে বরাদ্দ থাকবে।
নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘এই স্কিমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০০ কোটি পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। ৭.৯৫ শতাংশ প্রতি বছর সুদের হারে এই টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে। সেই ঋণের গ্যারান্টার হবে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্যারান্টি ছাড়া এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১০ শতাংশ সুদ গুনতে হত।’
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, এই স্কিমের জন্যে বরাদ্দ অর্থকে দু’টি ভাগে ভাগ করে ব্যবহার করা হবে। একটি ভাগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্যখাতকে। দ্বিতীয় ভাগটি দেওয়া হবে কোভিড জর্জরিত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বাকি ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।