আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা পেয়ে যাওয়ায় জার্মানিতে সংক্রমণের বেড়ে চলা হার সত্ত্বেও কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে৷ সুযোগ সত্ত্বেও টিকা না নিলে মানুষকে আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ আসন্ন হেমন্তকালে আক্রান্তদের সংখ্যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাষ দিচ্ছেন৷ অন্যদিকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের উপর এখনো কিন্তু বাড়তি চাপ দেখা যাচ্ছে না৷ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ করোনা টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ পেয়ে যাওয়ায় গত বছরের মতো শুধু সংক্রমণের হার বা আক্রান্তদের সংখ্যা আর বিপদের কারণ হয়ে উঠছে না৷ ফলে করোনা মহামারি মোকাবিলায় জার্মানি ভিন্ন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে৷
মঙ্গলবারই জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ জাতীয় স্তরে মহামারি পরিস্থিতির মেয়াদ আরও তিন মাসের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ ফলে রাজ্য সরকারগুলি ভবিষ্যতেও করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই বিশেষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মহামারি মোটেই দূর হয় নি৷ তাই এখনো সেই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড় সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার বা ইনসিডেন্সের মাত্রার পাশাপাশি হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যাও এবার থেকে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান৷ ফলে সরকার আইন পরিবর্তন করে ইনসিডেন্স সংক্রান্ত কড়াকড়ি শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ অর্থাৎ সেই মাত্রা ৫০ পেরিয়ে গেলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না৷ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জার্মানিতে ইনসিডেন্সের মাত্রা ৬১ পেরিয়ে গেছে৷ প্রায় তিন মাস পর এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ হাজার পেরিয়ে গেল৷ তবে হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা এখনো যথেষ্ট কম৷
জার্মানির কয়েকটি রাজ্য করোনা সংকট মোকাবিলায় ধীরে ধীরে ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করছে৷ যেমন সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া গত শুক্রবার থেকে ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’-এর নিয়ম প্রত্যাহার করেছে৷ বাডেন ভ্যুর্টেমব্যার্গও সেই পদক্ষেপ নিতে চলেছে৷ ফলে হোটেল-রেস্তোঁরা, সিনেমা হল বা মিউজিয়ামে প্রবেশের সময় আর নাম-ঠিকানা লিখে রাখতে হবে না৷ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে সেই তথ্যও পাঠানোর প্রয়োজন হবে না৷ টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের অনুপাত বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷
জার্মানিতে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক না হলেও সুযোগ সত্ত্বেও টিকা না নেওয়া মানুষের উপর চাপ বেড়েই চলেছে৷ সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতির মাত্রাও কমছে৷ অক্টোবর মাস থেকে এমন মানুষের জন্য গোটা দেশে বিনামূল্যে টিকা করোনা পরীক্ষার সুযোগও শেষ হচ্ছে৷ নগর-রাজ্য হামবুর্গ কিছু ক্ষেত্রে শুধু টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের জন্য প্রবেশের অধিকার চালু করেছে৷ অর্থাৎ শুধু করোনা টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট দেখিয়ে প্রবেশের সুযোগ আর থাকবে না৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।