জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার তালতলী শহরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় কর্মকর্তার ভুলের কারণে জালাল নামে এক কসাইকে খেসারত দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তার জবাই করা ৫০ হাজার টাকা দামের গরুর মাংস মাটিতে পুঁতে রাখা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান।
কসাই জালাল অভিযোগ করেন, প্রতিদিনের মতো প্রাণিসম্পদ অফিসের টেকনিশিয়ানের নো-অবজেকশন রিপোর্ট নিয়ে গাভী গরু জবেহ করেন তিনি। কিন্তু জবাইকৃত গরুটি ২-৩ মাসের গর্ভবতী হওয়ার সংবাদ পেয়ে স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসে হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে সব মাংস জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন।
কসাই জালাল বলেন, গরুর পেটে বাচ্চা আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য গরুপ্রতি ২০০ টাকা করে দেই। জবাইকৃত গরুর পেটে বাচ্চা নেই বলে প্রাণিসম্পদ অফিসের এআই প্রকল্পের টেকনিশিয়ান মো. মাহবুবুর রহমান সনদ দিয়েছিলেন। তার ভুলের জন্য ৫০ হাজার টাকা দামের গরুটি ও মোবাইল কোর্টে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এআই প্রকল্পের টেকনিশিয়ান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, একটু ভুল হওয়া স্বাভাবিক। এবারের ভুলের জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, পেটে বাচ্চা হওয়া গাভী গরু জবাই দেয়ার অপরাধে কসাই জালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে কসাইয়ের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জবাইকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।