জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধান কলা-উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর সুপরিচিত। এখানকার কৃষকরা সাধারণত নতুন ফসল রোপণের আগে তাদের ক্ষেত থেকে কলাগাছের ডালপালা এবং পাতা পরিষ্কার করে, যার জন্য তারা অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে। এরপর প্রচুর পরিমাণে কলার বর্জ্য এখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। এমবিএ স্নাতক করা মেহুল শ্রফ বুঝতে পেরেছিলেন যে, কলার বর্জ্য থেকে ব্যবসার ভালো আইডিয়া বের করা সম্ভব।
মেহুল দ্য বেটার ইন্ডিয়াকে বলেন, আমি একটি টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে এবং কৃষকদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনা। আমি বুরহানপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দেখা করি। আমি যখন একটি অনন্য ব্যবসা শুরু করার জন্য আমার ধারণা প্রকাশ করি, তখন তিনি পরামর্শ দেন যে আমি আমার নিজের জেলায় কী করতে পারি তা নিয়ে ভাবতে।
একটি ওয়ার্কশপে যোগদানের পর কলার কান্ড থেকে কীভাবে ফাইবার তৈরি করা যায় এবং কীভাবে এটি টেক্সটাইল, কাগজ এবং হস্তশিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি প্রায় দুই বছর তার গবেষণায় ব্যয় করেছেন ও ব্যবসার পরিকল্পনা ঠিক করেন।
সেলুলোজ এবং প্রাকৃতিক ফাইবার এ সমৃদ্ধ কলার বর্জ্য। ফাইবার তৈরি করার জন্য ও কাপড়ে পরিণত হতে এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। মেহুল নিশ্চিত করেছেন যে তিনি বাজারের ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ সহ বাণিজ্যের সমস্ত দিক বুঝতে পেরেছেন।
তিনি বুরহানপুরের কৃষকদের সাথেও মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের সমর্থন আদায় করে তাদের সাথে তার ধারণা শেয়ার করেছেন। ২০১৮ মেহুল তার টেকসই ব্যবসা শুরু করেন, যার নাম দেন শ্রফ ইন্ডাস্ট্রিজ। তিনি বুরহানপুরে একটি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করেন এবং কৃষকদের কাছ থেকে জেলাজুড়ে কলার ডালপালা সংগ্রহ করা শুরু করেন।
মেহুল বলেছেন যে, ’তার মুখোমুখি হওয়া প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হল কলার ফাইবারের বাজার খুঁজে পাওয়া। “আমাদের দেশ বিশ্বের বৃহত্তম কলা উৎপাদনকারী, কিন্তু আমরা এখনও ফসলের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে পারিনি। এই বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। ভবিষ্যৎ এ ভারতে এর বাজার আরও বড় হবে বলে আশাবাদী মেহুল।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।