জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচামালের আড়তে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সোমবার (১১ মার্চ) এ কার্যক্রম পরিচালনাকালে ট্রাক থেকে কাঁচামাল আনলোডিং, আড়তদার ও পাইকারি পর্যায়ে বর্ণিত পণ্যসমূহ সরবরাহ ও বিক্রয় কার্যক্রমে বেশকিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব কারণে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আরত ব্যবসায়ী সমিতিকে অনিয়মের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
যেসব অনিয়ম পাওয়া গেছে
১. ব্যবসায়ীরা রাতে পচনশীল সবজি-পণ্য (বেগুন, শসা ও লেবু) খোলা রাস্তায় এবং আড়তের আংশিক জায়গায় বিপুল পরিমাণ পণ্য অন্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন, কিন্তু তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই।
২. সবজির আড়তদার/পাইকারি বিক্রেত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ গ্রহণ বা প্রদান করেন না।
৩. আড়তদার/পাইকারি বিক্রেতারা পণ্যের কোনো মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন না।
৪. সবজির সরবরাহ ব্যবস্থায় উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রায় ৫/৬টি হাত বদলের মাধ্যমে পণ্য ভোক্তার নিকট পৌঁছোয়।
৫. কারওয়ান বাজারে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছু সংখ্যক ফরিয়া/মধ্যস্বত্বভোগীর উপস্থিতি লক্ষণীয় যাদের কোনো দোকান বা ব্যবসায়িক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৬. সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে পণ্য হাত-বদলের ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
৭. সবজির আড়তসমূহে পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন প্রতিপালন হতে দেখা যায়নি এবং তদারকির সময় আড়তের মালিক/প্রতিনিধিদের পাওয়া যায়নি।
৮. উৎপাদক, আড়তদার এবং পাইকারি এবং খুচরা- কোনো পর্যায়েই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদের প্রচলন পরিলক্ষিত হয়নি।
এসব কারণে পবিত্র রমজানসহ সারাবছর কাঁচাপণ্যের অবাধ সরবরাহ ও যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত তথা এ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান পরিপালনে আড়তদার/পাইকারি সমিতির সদিচ্ছা ও আগ্রহ নেই মর্মে বাজার তদারকিতে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ অবস্থায় অধিপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে উল্লিখিত অনিয়মের উপযুক্ত ব্যাখ্যা ১২ মার্চের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন, ৮ম তলা, ঢাকা) নিজে/প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে প্রদানের জন্য নির্দেশ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।