নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, সেনাবাহিনী ছাড়াও উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য নৌবাহিনীরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জেরে ৮ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৯টি ইউনিট কাজ করছে। নৌকা দিয়ে বাড়িঘর থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয় আসছেন সেনা সদস্যরা।
সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার যেসব উপজেলায় আজ শুক্রবার সেনা মোতায়ন করা হয়েছে-সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, দিরাই, দোয়ারাবাজার এবং ছাতক।
এছাড়াও, সুনামগঞ্জের খাদ্য গোডাউন রক্ষা এবং সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে সেনা সদস্যদের পাঁচটি কাজ দেয়া হয়েছে হয়েছে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
কাজগুলো হচ্ছে-
১. পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়া।
২. বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র নির্বাচন এবং উদ্ধারকৃত
ব্যক্তিবর্গের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
৩. চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা
৪. খাদ্য গোডাউন, পাওয়ার স্টেশন এবং অন্যান্য স্থাপনা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে
সহায়তা করা।
৫. সীমিত পরিসরে খাদ্য এবং সুপেয় পানি সরবরাহ করা।
সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সেনাবাহিনী নিজস্ব নৌকা দিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে। ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আরও ‘রেসকিউ বোট’ আনা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের নৌকাগুলোও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। নদনদী ও হাওরের পানি হু হু করে বাড়ছে। সুরমার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় এক থেকে দেড় ফুট করে পানি বেড়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্ধেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সময়ে সময়ে পানি বাড়ায় পুরো শহর প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২০ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এ কারণে পানি কমার সম্ভাবনা নেই। পানি আরও বাড়লে সিলেটে চরম বিপর্যয় দেখা দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।