স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মশাল গেট দিয়ে তখন ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা দর্শকদের। সবার মুখেই আপসোস ‘শেষ গোলটা না হলেই ভালো হতো।’ কেন ভালো হতো? হার তো হারই। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন কাতার তখন ০-১ গোলের হারটার মধ্যে যে কিছু প্রাপ্তিও থাকতো। গত এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যে দেশটি জাপান-কোরিয়াকে টপকে উড়িয়েছে চ্যাম্পিয়নের ঝাণ্ডা; সেই দেশের কাছে হারের ব্যবধান ০-১ রাখতে পারলে দিনটাতো স্মরণীয় হয়েই থাকতে পারতো। পারেনি জেমি ডে’র শিষ্যরা। ঘরের মাঠে ভালো খেলেও হারতে হয়েছে ০-২ গোলে।
বৃষ্টি ছিল। প্রতিকূল আবহাওয়া ঠেলে দর্শক ভরিয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারি। পুরো ৯০ মিনিট তারা পতাকা দুলিয়ে, গলা ফাটিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের। কোচ আগের দিন মুখে বলেছিলেন জিততে কে না চায়? কিন্তু তার অন্তরের কথা ছিল যদি কাতারকে আটকে দেয়া যায়। যেমনটি তাদের মাটিতে ভারত করে এসেছিল। কাতারের সঙ্গে ড্র হলে সেটাই হতো বাংলাদেশের ফুটবলের ঐতিহাসিক সাফল্য।
বৃষ্টি হোক, মাঠ ভেজা থাক- তাহলেই শুকনো মাঠে খেলে অভ্যস্ত কাতার সুবিধা করতে পারবে না- এই কামনা ছিল দর্শকদের। সেটা পূরণ হয়েছিল। কিন্তু মাঠে কাজের কাজটি হয়নি। কাতারও তাদের স্বাভাবিক নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি। সে সুবিধাটা নিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরপর দুই ম্যাচ হেরে টেবিলে নিচেই পড়ে রইল বাংলাদেশ।
শেষ গোল বাংলাদেশ হজম করেছে ইনজুরি সময়ে। দর্শকরা এই গোলেই হতাশ বেশি। না হলে তো ঘরে ফেরার হাসিমুখটা আরও চওড়া হতো তাদের। ‘ধরেই নিয়েছিলাম ০-১ গোলে হারছি। ম্যাচ শেষ হবে হবে- ঠিক তখন দ্বিতীয় গোল। এ গোলটায় কষ্ট পেয়েছি। না হলে তো দারুণ ছিল আমাদের সব কিছু’, স্টেডিয়াম চত্বর ত্যাগ করতে করতে বলছিলেন এক দর্শক।
জামাল ভূঁইয়াদের উৎসাহ দিতে অনেক দর্শক গায়ে জড়িয়েছিলেন লাল-সবুজ জার্সি। কপালে বেঁধেছিলেন জাতীয় পতকা। কারও শরীর ঢাকাও ছিল গর্বের এই পতাকা দিয়ে। বৃষ্টি যাদের ঠেকাতে পারেনি স্টেডিয়ামমুখী হওয়া থেকে তাদের মুখটা শেষ মুহূর্তে বেশি মলিন করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারাই এখন গ্রুপে শীর্ষে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৫ অক্টোবর কলকাতায় ভারতের বিরুদ্ধে এবং কাতারের ঘরের মাঠে ওমানের বিরুদ্ধে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।