কেউ ভাবেনি যে, এবার কাতার বিশ্বকাপে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এত ভালো পারফর্ম করবে। সবাই ভেবেছিলো জাপান ও কোরিয়া এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিবে। কিন্তু তারা দ্বিতীয় রাউন্ড এ লড়াই এর যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখন এশিয়ার সর্মথকরা আশা করছেন যে, জাপান ও কোরিয়া প্রতিপক্ষকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে।
১৯৯৯-কে মনে করেই আজ মাঠে নামবে দক্ষিণ কোরিয়া। আর জাপানিরা তো মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে সমতায় ক্রোয়াটদের সঙ্গে। এশিয়ার ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে জাপান-কোরিয়া।‘ই’ গ্রুপে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পেছনে ফেলে জাপান গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে, কে ভাবতে পেরেছিলেন।
চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা জাপান শেষ ম্যাচে হারিয়েছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকেও। স্পেন-জার্মানির তুলনায় তো আজকের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া চমকে-ধমকে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু ভয় আবার এটাই, দুই চ্যাম্পিয়নকে হারালেও জাপানিরা যে হেরেছে কোস্টারিকার মতো ‘দুর্বল’ দলের কাছে।
হিউং-মিন সনের দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি। ইতিহাসটা বিশ্বকাপে এশীয় দলের বিপক্ষে ব্রাজিলের রেকর্ড। এশীয় কোনো দলের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানরা যে কখনোই হারেনি। তবে ব্রাজিলের এমন অজেয় রেকর্ড তো আফ্রিকার দলের বিপক্ষেও ছিল।
কোন ছকে খেললে সন হিউং-মিনের সেরাটা পাওয়া যাবে, এটা এখনো দক্ষিণ কোরিয়া বের করতে পারেনি বলেই মনে হয়। আরেক ফরোয়ার্ড উলভারহ্যাম্পটনের হুয়াং হি-চান একদিন ভালো তো পরের দিন খুব খারাপ খেলেন। রক্ষণভাগের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার প্রবণতা আছে। ব্রাজিলের কাছে ৫ গোল ও জাপানের কাছে ৩ গোল খাওয়ার অভিজ্ঞতা তো ওদের খুব বেশি পুরোনো নয়।
টটেনহাম তারকা সন হিউং-মিনের অভিজ্ঞতা কাজে দেবে। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি খুব ধারাবাহিক। নাপোলির কিম মিন-জা মাঝমাঠে বেশ প্রভাবশালী। যদি তিনি ফিট থাকেন, কোচের হাতে বিকল্প বেড়ে যাবে, সন খেলতে পারবেন আরও স্বাধীনভাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।