এবারে কাতার বিশ্বকাপে সবথেকে বিস্ময় তৈরি করেছে মরক্কো। কেউ ভাবতেও পারেনি যে তারা সেমিফাইনালে উঠতে সক্ষম হবে। যাত্রাপথে তারা বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালকে বিদায় করে দিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের সাথে মরক্কো সিংহের মত লড়াই করেছে।
মোটামুটি সবার হিসেবেই এগিয়ে ছিল স্পেন। একঝাঁক তারকা ফুটবলার দলে; পেদ্রি-গাভির মতো উঠতি তারকারা রয়েছেন, তোরেস-মোরাতা-ফাতি’র মতো স্ট্রাইকাররাও কম নামদার নন।
গোটা কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর জালে বল জড়িয়েছে স্রেফ একবার, সেটাও আবার আত্মঘাতী। সেই ধারা বজায় রইল শেষ ১৬’র এই ম্যাচেও। পুরো ম্যাচেই যথারীতি একতরফা বল দখল রেখেছে স্পেন (৭৭%), কিন্তু কাজের কাজটা একবারও করতে পারেনি তারা।
উপরন্তু গোটা ম্যাচে স্পেন অন-টার্গেট শট নিতে পেরেছে মাত্র একটি, সেখানে মরক্কো দুইবার করেছে সেটা। একবার তো রীতিমতো বিপদেই পড়ে গিয়েছিল স্পেন, গোলরক্ষক উনাই সিমোনের দারুণ এক সেইভে শেষ অবধি রক্ষা হয়েছিল সেবার। কিন্তু এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে যে অপেক্ষা করছিল অন্য এক নাটক!
টাইব্রেকারে নামার আগে স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোনের মাথায় হাত রেখে কিছু একটা বলছিলেন বোনো, চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের দীপ্তিটাও ছিল স্পষ্ট। টাইব্রেকার শুরু হতেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনও দেখা গেল বেশ।
ঠিক দিকেই ঝাঁপ দিলেন, তবে সারাবিয়ার পেনাল্টি আটকে গেল গোলবারে। সেই সারাবিয়া, অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষের ঠিক আগ মুহূর্তে একটুর জন্য যিনি গোলের দেখা পাননি, সেই গোলবার ছুঁয়েই বেরিয়ে গিয়েছিল শটটা।
রাজ্যের অন্ধকার নেমে এলো তার মুখে। স্প্যানিশ গ্যালারিতে হঠাৎ যেন নেমে এলো পিনপতন নীরবতা; সমর্থকরাও যেন বুঝতে পারছিলেন, কী ঘটতে চলেছে। পর্তুগালও মরক্কোর বিরুদ্ধে শৃঙখলা বজায় রেখে ভালো আক্রমণ করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও কাঙ্খিত গোল আসেনি। মরক্কোর সমর্থকরা আশা করছেন যে, ফ্রান্সকে হারিয়ে তাদের ফাইনাল খেলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।