সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষ, অভিবাসন বিরোধিতা, কট্টর ডানপন্থী মনোভাব ও ফ্যাসিবাদী আচরণ এর উত্থান ঘটেছে। ইউরোপের জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও পাচ্ছে। ইউরোপ নিজেদেরকে অন্য অঞ্চলের মানুষের থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে।
ইউরোপে ইউনিয়ন যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তখন তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখে পুরো বিশ্ব খুশি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আচরণ বদলে গেছে । ইউরোপের রাস্তাঘাটে, শপিংমলে এবং বাসাতেও অভিবাসী, সংখ্যালঘু ও মুসলিমদের উপর হামলা বাড়ছে।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের এক মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসলিমদের উপর খ্রিস্টান বন্ধুকধারীর হামলার ঘটনা ও এ বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরের কাছে মসজিদে মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে যে, অভিবাসী এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বাড়ছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সে একটি কার্টুন এ কাতার জাতীয় ফুটবল দলকে সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কাতারের দলের সদস্যদের পিস্তল ও বন্দুক বহন করতে দেখা যায়। তাদের পরনে টুপি এবং দাঁড়ি ছিল।
উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলে ফুটবল বিশ্বকাপের মতো অনুষ্ঠান আয়োজনকে ইউরোপ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। যারা দাঁড়ি ও টুপি পরে তারা সন্ত্রাসী এ ধরনের মনোভাব ওই কার্টুনে দেখা যায়।
আরো বলা হয় যে কাতারে মানবতা নেই বরং স্বৈরতন্ত্র চালু আছে। কাতারের আমির শেখ তামিম তার দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করছে। ইসলাম ও মুসলিমদের সংস্র্কতি তুলে ধরার জন্য কাতার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
ইসলাম এবং মুসলিমদের ইতিহাস নিয়ে অনেক বই বিক্রি করছে কাতার। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মাধ্যমে মক্কা ও মদিনার মুসলিম স্থাপত্য উপভোগ করতে পারবেন এখানে আসা দর্শনার্থীরা।
কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের প্যাভিলিওনে ইসলাম ও মুসলিমদের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (স) ও হাদিসের অনেক বাণী ছবি আকারে পাবলিশ করা হচ্ছে।
কাতারের এসব পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার হলেও ফ্রান্সে এ রাষ্ট্রকে অসভ্য বলেছে। এর পূর্বেও ফ্রান্স ইসলাম এবং মুসলিমদের নিয়ে এ ধরনের মনোভাব পোষণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।