স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ২১ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচন হবে কাতারের রাজধানী দোহা সিটির আল বাইত স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ রোমাঞ্চে বছর শেষে ডুব দেবে ফুটবল দুনিয়া। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ হবে শীতকালে। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে এখন থেকে।
এদিকে ২০০২ সালের পর থেকে পার হয়ে গেছে চারটি বিশ্বকাপ। শেষ চারটি আসরেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠেও পারেনি শিরোপা জিততে। সবচেয়ে বেশিবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের খালি হাতে ফেরাটা মানানসই নয়।
কাতার বিশ্বকাপেও যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারে তবে এটা হবে বড় ব্যর্থতা―এমনটাই বললেন ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল অধিনায়ক কাফু।
কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপে ব্রাজিল। তাদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিলকে ঘিরে প্রত্যাশার চাপ একটু বেশিই থাকে। সেই প্রত্যাশা এবার নেইমার-কোতিনহোরা কতটুকু পূরণ করবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। এই চাপটা অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতিহাসমণ্ডিত ব্রাজিলের ওপরই বেশি থাকে, বলছেন কাফু, ‘প্রতিটি টুর্নামেন্টে ব্রাজিল পা রাখে জয়ের চাপ নিয়ে। বিশাল ইতিহাস নিয়ে বিশ্বের অনেক বড় একটি দেশ ব্রাজিল। কেবল বিশ্বকাপ নয়, যে ম্যাচই হোক না কেন, সবখানেই জয়ের চাপ ব্রাজিলের ওপর থাকে। আমাদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের খুবই ভালো একটা প্রজন্ম আছে; তাই প্রত্যাশা থাকাও স্বাভাবিক। ‘
শেষ চার বিশ্বকাপেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপেও যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে তবে তারা আবারও ব্যর্থতার প্রমাণ দেবে―এমনই বলছেন কাফু, ‘এবার জয়ের সময় এসেছে। এটা পরিষ্কার যে, যদি আমরা বিশ্বকাপ জিততে না পারি, তাহলে সেটা ব্যর্থতা হবে। আমাদের সবারই প্রত্যাশা আছে এবং আশা করি আমরা এবার জিততে পারব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকাপে ভালো এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলা, এরপর ফাইনালের বিষয়টি…যেটা কেউ অনুমান করতে পারে না। ‘
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।