জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় তার কানাডা প্রবাসী স্বামী ইফতেখারকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত ইলমার খালু ইকবাল হোসেন জানান, ইলমা ঢাকার ধামরাই উপজেলার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী স্বামী ইফতেখারকে নিয়ে বনানীর একটি বাসায় থাকতেন।
তিনি আরো জানান, গত ছয় মাস আগে কানাডা প্রবাসী ইফতেখারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত পাঁচদিন আগে তার স্বামী কানাডা থেকে ঢাকার বাসায় আসেন। মঙ্গলবার ইলমা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নিকে তার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছেন। আমরা এর বিচার চাই। ইলমার শরীরে আমরা অনেক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। গলায়ও আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। ইলমা আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জানান, বিকালে খবর পেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের গলায় দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি আরো জানান, এছাড়াও মৃতের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ইলমার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ইলমার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছুটে আসেন তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা।
সহপাঠী মজিদা নাসরিন মম বলেন, বিয়ের আগ পর্যন্ত বেগম সুফিয়া কামাল হলে থাকতো ইলমা। বিয়েন পর থেকে বনানী শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। গত সেপ্টেম্বরে তার সঙ্গে শেষ দেখা হয়। একটি পরীক্ষা দিতে আসছিল। এর পরে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা শুনেছি, তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। প্রতিনিয়ত সন্দেহ করতেন ওকে।
মজিদা নাসরিন অভিযোগ করে বলেন, এমনকি ফোন দিলেও শাশুড়ি রিসিভ করতেন। আমরা ওর শরীরের আঘাতগুলোর চিহ্ন দেখেছি। ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেছেন, ও আত্মহত্যা করেছে। ইলমা কোনোভাবেই আত্মহত্যা করে নাই। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নৃত্যকলা বিভাগের প্রভাষক তামান্না রহমান বলেন, আমরা ইলমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়া যায় না। আমি শুনেছি, ইলমা যখন গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল, তখন ওর সঙ্গে একজন বডিগার্ড ছিল। কতটা অবিশ্বাস এবং সন্দেহ করতো তাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।