কান্নার পানি আসে চোখের পানির গ্রন্থি বা টিয়ারগ্ল্যান্ড থেকে। সেখান থেকে বেরিয়ে পানি চোখের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। আবার চোখের পানির নালি দিয়েও আসে। এগুলো হলো ল্যাক্রিমাল ডাক্ট। এগুলো খুব সরু নালি, চোখের ওপরের পাতার ভেতরের দিকে চোখ ও নাকের মাঝখানে থাকে।
আসলে কান্না ছাড়াও সব সময় চোখের ভেতরের অংশ ভেজা রাখার জন্য কিছু পানি জমা থাকে। আমরা যে বারবার চোখের পাতা ফেলি, সেটা ওই পানি দিয়ে চোখ ভেজা রাখার জন্য। যদি প্রয়োজন অনুপাতে চোখ ভেজা না থাকে বা চোখ শুকনা থাকে, তাহলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সেটা এক ব্যাপার।
কিন্তু কান্নার পানি আসে অন্য কারণে। আবেগ, মানসিক চাপ, উত্তেজনা, রাগ, বিষণ্নতা, মনঃকষ্ট বা শরীরে কোথাও ব্যথা পেলে কান্না আসে। কেন আসে? কারণ, আমাদের শরীর সব সময় মনের কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এর একটি উপায় কান্না। ঝরঝর করে চোখের পানি বের করা। কান্নার পানিতে থাকে বিভিন্ন হরমোন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি।
খনিজ লবণের জন্য চোখের পানির স্বাদ লবণাক্ত। মানসিক আঘাতের কারণে কান্নার পানিতে যেসব হরমোন থাকে, এর মধ্যে এমনকি কষ্ট কমানোর রাসায়নিক পদার্থও থাকে। এর মধ্যে রয়েছে প্রোল্যাকটিন, এড্রিনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন, লিউসিন এনকেফ্যালিন (leucine enkephalin) প্রভৃতি।
এসব হরমোন মনের দুঃখ-কষ্ট কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য মানুষ কাঁদে। আপনজনের মৃত্যুতে বা অন্য কোনো কারণে মানসিক আঘাত পেলে কেউ যদি বাক্রুদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষ তাকে কাঁদতে বলে, যেন কান্নার মাধ্যমে কষ্ট ভুলে থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।