স্মার্টফোন বিক্রি কমতে পারে নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে । ক ভিড-১৯ মহা মারীর নতুন ধরন ওমি ক্র নের সংক্রমণ সারাবিশ্বে বাড়ায় চলমান সরবরাহ ও যন্ত্রাংশ সংকট হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তথ্য ইটি টেলিকম।
অনেক প্রতিষ্ঠান চিপ ও যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে তাদের উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ায় তা ভোক্তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি চাহিদাকেও প্রভাবিত করতে পারে। বাজার বিশ্লেষকদের প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে সেলফোন বিক্রির হার ২০ শতাংশ কমতে পারে, যার গড় ছিল ৫ কোটি ৪০ লাখ থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউনিট। ফলে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন বিক্রির হার ১১-১৪ শতাংশ কমতে পারে।
টেকআর্কের প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল কায়োসা বলেন, চলমান সংকটের মধ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলোর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিতে একটি নির্দিষ্ট বিভাগে শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলো ৮০-৯০ শতাংশ সেলফোন বিক্রির চেষ্টা করবে। পাশাপাশি নতুন সেগমেন্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিয়েছে, তারা ৫০-৬০ শতাংশ সরবরাহ কমিয়ে দেবে। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে যন্ত্রাংশ স্তূপীকরণ বন্ধে প্রতিষ্ঠানগুলো এ পদক্ষেপ নেবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে সেলফোনের বিক্রি ৪ কোটি ৩০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৪০ লাখ ইউনিটের মধ্যে থাকবে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৩ কোটি থেকে ৩ কোটি ২০ লাখ। যেখানে গড় বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ।
আইডিসির তথ্য মতে, বিশ্বে যখন ক ভিড-১৯-এর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তখনই সেলফোন বিক্রি হ্রাসের এ পূর্বাভাস সামনে এল। চীন ও জাপানে নতুন করে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রযুক্তিবাজারে চলমান সরবরাহ সংকট আরো প্রকট করবে। পাশাপাশি ওমিক্রন ও ডেল্টার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ভোক্তারা দামি স্মার্টফোন কেনা থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আইডিসি ইন্ডিয়ার অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ ম্যানেজার উপাসনা জোশি বলেন, প্রথম প্রান্তিকে ভোক্তারা সেভিং মোডে চলবেন। কেননা ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ক্ষতি হয়েছে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে মানুষ সে রকম কিছুর মুখোমুখি হতে চায় না। তাই ব্যয়ও অনেক সংকুচিত হবে।
শিল্প পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এ প্রান্তিকে ৪৫টির বেশি নতুন স্মার্টফোন বাজারে আসবে না। ২০১৯, ’২০ ও ’২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬০, ৪৬ ও ৬৭। ২০২০ সালে ক ভিড-১৯-এর সংক্রমণ, লকডাউনের কারণে নতুন স্মার্টফোন বাজারজাতের পরিমাণ কম ছিল। অন্যদিকে ২০২১ সালে অত্যধিক চাহিদা ও সরবরাহ সংকটের কারণে স্মার্টফোন বাজারজাত সম্ভব হয়নি। এছাড়া চিপ সংকট ও ভবিষ্যৎ ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইভজি স্মার্টফোন উৎপাদনে বেশি মনোনিবেশ করেছে।
প্রযুক্তিবাজার গবেষণা সংস্থা ক্যানালিসের গবেষক সানিয়াম চৌরাসিয়া বলেন, বাজারে চিপের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলো স্মার্টফোন উৎপাদন করছে। ফোরজি চিপ সংকটের কারণে উৎপাদনকারীরা বর্তমানে ফাইভজির দিকেই ঝুঁকছে। চলতি বছর রিয়েলমি, শাওমি, স্যামসাং ও অপোর মতো প্রতিষ্ঠান ফাইভজিকেই প্রাধান্য দেবে।
ক্যানালিসের অনুমান, চলতি বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চিপের ঘাটতি অব্যাহত থাকবে এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উপাদানের প্রাপ্যতা অনুসারে নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারজাতে নজর দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।