জুমবাংলা ডেস্ক : নুসরাত হ’ত্যা মামলায় মৃ’ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুন নাহার মনি বৃহস্পতিবার সকালে কোলে বাচ্চা (এক মাস বয়সী) নিয়ে আদালতে প্রবেশ করলেও দণ্ড পাওয়ার পর এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় বাচ্চা ছিল কারারক্ষীর কোলে। এ সময় ফটোসংবাদকর্মীরা মনির ছবি তুলতে গেলে ক্ষুব্ধ হয় সংবাদকর্মীদের ওপর। রায় ঘোষণার পর আদালত ভবনের তিনতলা থেকে মনিকে হাত ধরে নিচে নামানোর সময় উপস্থিত নারী কারারক্ষীর ওপর চওড়া হয় মনি। অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হ’ত্যার ঘটনায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃ’ত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হ’ত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। মৃ’ত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা দণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হ’ত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুন নাহার মনি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে (২১শে সেপ্টেম্বর প্রথম প্রহর-১২.১০ মিনিট) কন্যাসন্তান প্রসব করে। ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে তার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। দু’দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে মনিকে কারাগারে নেয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজানান সাজু জানান, নুসরাত হ’ত্যা (কিলিং মিশনে ৫ জনের একজন) মামলার অন্যতম আসামি কামরুন নাহার মনিকে গত ১৬ই এপ্রিল বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তারের সময় মনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গ্রেপ্তারের পরদিন ১৭ই এপ্রিল মনিকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। নুসরাতকে পুড়িয়ে হ’ত্যার সময় ব্যবহৃত বোরকাগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছিল আসামি মনিকে নিয়ে গত ১৯শে এপ্রিল সে দোকানে অভিযান চালায় পিবিআই।
নুসরাত হ’ত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ২০শে এপ্রিল আসামি কামরুন নাহার মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঘটনার সময় বোরকা পরিহিত ৫ জনের মধ্যে একজন ছিল মনি। নুসরাতকে হাত-পা বাঁধার পর আসামি মনি সহপাঠী নুসরাতকে ছাদে শুইয়ে দিয়ে গলা চেপে ধরে। আসামি জাবেদ হোসেন ঘটনার সময় নুসরাতের গায়ে এক লিটার কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় এবং ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সূত্র: মানবজমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।