নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতবৃন্দ মত বিনিময় করেছেন। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ মত বিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত তাজুল ইসলামকে (৫০) ও জাকারিয়া হাসান জুয়েলের (২৬) পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা করে ৪ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এর আগেও স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতি পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে ২ লাখ টাকার চেক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
জানা গেছে, নিহত তাজুল কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া (বাইমাকান্দা) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উত্তরায় রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিন (১৮ জুলাই) তিনি রোজা রেখে উত্তরার একটি মসজিদ থেকে আছরের নামাজ পড়ে বাহিরে বের হওয়ার সময় পুলিশের গুলিশে নিহত হন। বাসায় ইফতার নিয়ে ফেরার কথা থাকলেও লাশ হয়ে ফিরেছেন। অন্যদিকে, জাকারিয়া কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উত্তরায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। একই দিন তিনি উত্তরা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার সময় উত্তরায় পুলিশের গুলিশে নিহত হন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও আমীর, গাজীপুর জেলা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমীর মো. খায়রুল হাসান, গাজীপুর জেলা মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মোখলেছুর রহমান খান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রটারী তাজুল ইসলাম পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন-গাজীপুর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান, কালীগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহীদেরা আমাদের অনুপ্রেরণা, এক অদম্য চেতনার সাইরেন। এ আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ভাইয়েরা ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন। হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয়ে আশার ঢেউ তুলেছে একবিংশ শতাব্দীর সাহসী যুবক আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং তার সঙ্গীরা। জামায়াতে ইসলামী আজীবন শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীকে স্মরণ করবেন, আমরা সর্বদা আমাদের সাধ্য মতো আপনাদের সুখে-দুঃখে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ জাতির প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও তার দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ: ভাঙচুরের কারণে ৩০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।