নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। পেঁপে কাঁচা সবজি ও পাকা ফল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার আশপাশে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই কৃষকদের অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। পাইকাররা এখন বাগান থেকেই পেঁপে কিনছে। যে কারণে কৃষকদের বাজারে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা থাকছে না। বরং যাতায়াত খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি লাভের পরিমাণ বেড়েছে।
উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বির্তুল গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ সরকার। গেল বছর তিনি কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে ১ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গত বছরের সফলতায় এ বছর তিনি আরও বেশি লাভের আশায় ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ফলন ভাল হওয়ার পাশাপাশি দামও পাচ্ছেন ভালো।
মাসুদ সরকারের দেখা দেখি একই গ্রামের যুবক রনি সরকার ও সম্রাট সরকার পেঁপে চাষ করে সফলতা অর্জন করার পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। পেঁপে কাঁচা সবজি ও পাকা ফল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার আশপাশে এই সবজি ও ফলের রয়েছে বেশ চাহিদা।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার নাগোরী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে পাইকারি ও স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করছেন।
উপজেলার উলুখোলা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির উদ্দিন মোল্লা বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে পেঁপে চাষে বির্তুল গ্রামের কৃষকদের পরিবারে ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, পেঁপে চাষে খরচ কম, রোগ বালাইয়ের ঝামেলা ও ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে অনেকেই আর্থিক ভাবে সচ্ছল।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। পেঁপে চাষে অর্থনৈতিকভাবে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি চাষে অগ্রসর হয় তাহলে তারাও লাভবান হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।