গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: কয়লা আসায় আবারও চালু হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ও সর্বাধুনিক কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রবিবার (২৫ জুন) ভোর ৪টা থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম জানান, ‘২৫ জুন (আগামীকাল) পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে। ৪০ হাজার টনের একটি কয়লাবাহী জাহাজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে এসেছে। আরও একটি জাহাজ পায়রার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। মোট আট লাখ টন কয়লার এলসি খোলা হয়েছে। আশা করছি, এ কয়লা থাকতেই আরও এলসি খোলা যাবে।’
আগামী ২৮ জুন আরেকটি জাহাজ আসলেই দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে বলে জানান তিনি।
পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজটি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে সরাসরি ভিড়েছে এবং বন্দরের আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১ তারিখ আরও কয়েকটি জাহাজের সিডিউল পেয়েছি। ইতোমধ্যে পায়রা বন্দরের উদ্দেশে সে সকল জাহাজ রওনা হয়েছে। এসব জাহাজ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে সরাসরি ভিড়বে এবং বন্দরের আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবিলম্বে পুনরায় উৎপাদনে যেতে পারে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়লা পরিবহনে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৮-১০ টি কয়লাবোঝাই জাহাজ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে কয়লা সরবরাহ করে।
ডলার সংকটের কারণে গত ২৫ মে থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ২টি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। একই কারণে ৫ জুন দুপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপর ইউনিটটিও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। চীনের এই সংস্থা আর বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ বিনিয়োগে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালের মে মাসে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটি উৎপাদনে শুরু করে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ইউনিট শুরু করে একই বছরের ২৬ আগস্ট। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজার টন কয়লার দরকার হয়, যার পুরোটাই ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে সিএমসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।