আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তো বটেই কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনও বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও একথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানালেন উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ১০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এই খবর জানিয়েছে কলকাতার সংবাদপত্র আনন্দবাজার। যদিও গ্রেফতারের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি বলে জানায় প্রশাসনের আরেকটি সূত্র।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার বলেন, এ পর্যন্ত ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনসুরক্ষা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রায় সকলকেই উপত্যকার বাইরে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের নানা জেলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই গ্রেফতার অভিযান এখনও চলছে। সুতরাং গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়বে।
তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন মূলত তরুণরা। রাজনৈতিক নেতা, হুরিয়ত নেতা, বিভিন্ন নাগরিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা— প্রশাসন যাদের ‘বিপজ্জনক’ মনে করেছেন, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকারিভাবে গ্রেফতারের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের আরেক সূত্র বলছে, গ্রেফতারের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। বিভিন্ন থানার লক-আপ ভরে যাওয়ার পরে বহু তরুণকে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরগুলিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যাদের সংখ্যা পুলিশ কর্মকর্তার হিসেবের বাইরে থেকে গেছে। সেখানে কোউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বহু পরিবারই জানে না নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাদের ছেলে কোথায় আছে।
প্রশাসনের মুখপাত্র প্রিন্সিপাল সচিব রোহিত কনসাল অবশ্য এই গ্রেফতার অভিযানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আটক করা হচ্ছে, ছেড়ে দেওয়াও হচ্ছে। থানা পর্যায়ে এমন প্রক্রিয়া চলছেই।’
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel