আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেয়ার পর কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছিলো চীন। তবে শুক্রবার রাতে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি ১৫ সদস্যের এই ফোরাম। তাই বৈঠক শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়নি। খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তান ও তার মিত্র চীন এই ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তবে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ দেশেই এটিকে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আখ্যা দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপর জোর দেয়। তথাপি কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের এই আলোচনাকেও নিজেদের একটি সাফল্য হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।
বৈঠক সূত্রে পিটিআই বলছে, সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ডকে আগস্টের শেষ দিকে একটি বিবৃতি প্রদানে চাপ দেয় চীন। গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রদানে চীনের প্রস্তাব সমর্থন করে যুক্তরাজ্যও। তবে সংস্থাটির বেশিরভাগ সদস্য কোনো বিবৃতি প্রদানের বিরোধিতা করে। তারা কাশ্মীর ইস্যুকে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মত দেয়। আফ্রিকার প্রতিনিধি আইভরিকোস্ট, ইকুয়েটাল গিনি, ডোমিনিকান রিপাবলিক, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উপর জোর দেয় ফ্রান্স। একই অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির। রাশিয়াও আলোচনার উপর জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিনিধি।
কাশ্মীর ইস্যুতে উদ্বিগ্ন ছিল ইন্দোনেশিয়াও। তবে তারাও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেয়। বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি জানান, আজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর গভীরভাবে নজর রাখছি। কাশ্মীর ইস্যুতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিকতা থাকতে পারে। আমরা সবপক্ষকে শান্ত ও সতর্ক থাকতে বলেছি।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ায় সেখানে ভারত বা পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। বৈঠকে নিজেদের একজন প্রতিনিধির রাখতে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। তবে তাদের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ১৫ সদস্যের এই শক্তিশালী ফোরাম।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.