জুমবাংলা ডেস্ক : ‘নৌকার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুরুষ মানুষ কিছু আছে মুখে লিপস্টিক মেখে অন্য খেলা খেলার চেষ্টা করছে। কোনো কোনো আঁতেল নাস্তিক নৌকার সঙ্গে চলছেন কিন্তু নৌকার নিয়ে আন্ডারমাইন করছেন। তাদের পেছনে তাদের বাড়ির বউ আছে কিনা সন্দেহ। তারা বলছে নৌকা না পেলে এটা হতো সেটা হতো। সেই লিপস্টিকওয়ালাদের বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাটি, শেখ হাসিনার ঘাটি। এখানে অন্য খেলার চেষ্টা করবেন না’ বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান।
সোমবার দুপুর সোয়া ২টায় নারায়ণগঞ্জের বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা হৃদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে লালন করি, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লালন করি ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করি। বঙ্গবন্ধু আমার শেষ ঠিকানা, শেখ হাসিনা আমার গন্তব্য, শেখ হাসিনা আমাদের শক্তি। আমার বাবা (মরহুম একেএম সামসুজ্জোহা) মৃত্যূর ঠিক আধ ঘণ্টা আগে আমাদের ৩ ভাইকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি আরও বলেন, আমি সেই মায়ের সন্তান। আমার প্রয়াত ভাই মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান ১৪ আগস্ট বিয়ে করে ১৫ আগস্ট নববধূকে রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে চলে গিয়েছিলেন। আমি সেই পরিবারের সন্তান বলেই বিশ্বাস করি নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক, নৌকা আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক। আমাদের শ্লোগান ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ যে শ্লোগান শুনলে অনেকের বুকে কাপুঁনি ধরে।
তিনি আরও বলেন, বাবা বলেছিলেন- বঙ্গবন্ধু হ ত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আমার ছেলেদের মৃত্যু হলে আমি মরেও শান্তি পাবো। আমি সেই বাবার ছেলে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হ ত্যার পর খু নি মোশতাক আমার মাকে (প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা) বলেছিলেন বাবা যেন তার মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। আমার মা বলেছিলেন- আমার স্বামী আপনার মন্ত্রিসভায় যোগ দিলে প্রথমে চেষ্টা করবো তাকে হত্যা করতে, না পারলে নিজেকেই হত্যা করবো। এমপি শামীম ওসমান বলেন, আচরণবিধির কারণে এতদিন সরাসরি নামিনি ঠিকই কিন্তু আমাদের মূল ধারার সব নেতাকর্মীই নৌকার জন্য নেমেছেন। এখানে কে প্রার্থী ,হু কেয়ারস। কলাগাছ না আমগাছ সেটা দেখার বিষয় না। এটা আমার স্বাধীনতার নৌকা, এটা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এটা আমাদের ৪৯ জন লাশের নৌকা, চন্দন শীলের ২ পায়ের বিনিময়ের নৌকা। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি খোকন সাহা, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু,সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।