আমরা জানি, অনেক প্রাণী অন্ধকারে দেখতে পায়। যেমন বিড়াল। প্রশ্ন হলো, এসব প্রাণী কীভাবে অন্ধকারে দেখে? আমাদের চোখে ফটোরিসেপ্টর বা আলোকসংবেদী কোষ থাকে। এসব কোষের সাহায্যেই আমরা দেখি। এরকম দুই ধরনের কোষ রয়েছে চোখে।
এক, রড কোষ; আর দুই, কোন কোষ (Cone Cell)। দুটির কাজ ভিন্ন। অল্প আলোয় দেখতে সাহায্য করে রড কোষ। আর আমরা যে স্বভাবিক আলোতে দেখি, তা দেখি মূলত কোন কোষের সাহায্যে। মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীদের চোখেও এ আলোকসংবেদী কোষ থাকে।
যেসব প্রাণী রাতে শিকার করে, সেগুলোর চোখে সাধারণত রড কোষের সংখ্যা বেশি থাকে। ফলে আমাদের চেয়ে ওসব প্রাণী অন্ধাকারে ভালো দেখতে পায়। উদাহরণ হিসাবে বিড়ালের কথা তো আগেই বলেছি। বিড়াল অন্ধকারে আমাদের চেয়ে ভালো দেখে। কারণ, বিড়ালের চোখে কোন কোষের চেয়ে রড কোষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
মানুষের তুলনায় ৬-৮ গুণ বেশি রড কোষ থাকে বিড়ালের চোখে। বুঝতেই পারছেন, মানুষের বেলায় ঘটনা ঠিক বিপরীত। আমাদের চোখে রড কোষের চেয়ে কোন কোষের সংখ্যা বেশি। এ কারণেই আমরা স্বাভাবিক আলোয় বা উজ্জ্বল আলোয় ভালো দেখি।
আবার অনেক প্রাণীর চোখে লুমিনাস ট্যাপেটাম নামে একধরনের চকচকে স্তর থাকে। চোখের অপটিক নার্ভ বা স্নায়ু ও রেটিনার মাঝে থাকে এটি। এই স্তরে আলো প্রতিফলিত হওয়ায় চোখের ভেতরে আলো বেশি সময় স্থায়ী হয়। ফলে অন্ধকারেও কোনো জিনিস আবছা দেখা যায়। বিড়ালের চোখে এই লুমিনাস ট্যাপেটাম রয়েছে। তাই অন্ধকারে বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে।
কিন্তু যদি কোনো আলো না থাকে? অর্থাৎ ঘুটঘুটে অন্ধকারেও কি এসব প্রাণী স্পষ্ট দেখতে পায়? আসলে প্রচণ্ড অন্ধকারে প্রাণীরা কিছুই দেখতে পায় না। কারণ, আলোর অনুপস্থিতে লুমিনাস ট্যাপেটাম কাজ করে না। এককথায় বললে, বিড়াল বা কিছু প্রাণী অল্প আলোয় মানুষের চেয়ে ভালো দেখতে পায়। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্ধকারে কিছু দেখে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।