মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়, অতিরিক্ত পানি অপসারণ করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লোহিত রক্তকণিকা ও ক্যালসিয়াম ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।

অনেক সময় দীর্ঘদিন পানি কম পান করা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বা অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও কিডনির ক্ষতি হয়। একবার সমস্যা শুরু হলে তা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যায়। তাই কিডনির যত্নে আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি—বিশেষত খাদ্যাভ্যাসে। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক—
বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে পটাশিয়াম কম থাকায় এটি কিডনির জন্য বেশ উপকারী, বিশেষ করে যাদের কিডনি সমস্যা আছে। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার ও ফলেট—যা প্রদাহ কমাতে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বাঁধাকপি কোষ মেরামতে সহায়তা করে এবং কিডনির টিস্যু সুরক্ষিত রাখে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বাঁধাকপি রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
লাল আঙু : লাল আঙুরে থাকা পলিফেনল কিডনিতে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এগুলো শরীরকে টক্সিন ও অতিরিক্ত শর্করার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল আঙুর বা আঙুরের রস খেলে কিডনির প্রাথমিক সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ লাল আঙুর আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়ক হতে পারে।
রসুন: রসুনের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান কিডনির প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত রসুন খেলে কিডনির ক্ষতির সূচক কমে এবং কিডনির কোষে সুরক্ষামূলক প্রভাব পড়ে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে, যা কিডনি নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি। তাই প্রতিদিনের খাবারে রসুন রাখা কিডনি সুরক্ষায় অতিরিক্ত সুবিধা দেয়।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড, যা কিডনির প্রদাহ কমাতে ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা সক্রিয় যৌগগুলো ফ্রি র্যাডিকাল ধ্বংস করে কিডনি সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। তাজা বা ফ্রোজেন—যেকোনো ব্লুবেরিই প্রতিদিন এক মুঠো খাওয়া কিডনির জন্য উপকারী।
ফুলকপি: ফুলকপি কিডনিবান্ধব খাবার হিসেবে পরিচিত। এতে পটাশিয়াম কম, আবার রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট ও ফাইবার। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে কিডনির প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফুলকপিতে থাকা বিশেষ যৌগগুলো কিডনির কোষকে সুরক্ষা দেয়। আলু বা ভাতের বদলে ফুলকপি রাইস খেলে পটাশিয়াম কমিয়ে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি গ্রহণ করা যায়।
বি.দ্র.: এই তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই এটি চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



