উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন মৃত এমন তথ্য নিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরীয় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ায় কোনও অস্বাভাবিক গতিবিধি তারা শনাক্ত করতে পারেননি। গত ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ায় কিম জং উনের স্বাস্থ্য অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। এমনকি তার মৃত্যুর গুজবও শোনা গেছে।
১৫ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত উনকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, কিম উনের হয় কার্ডিওভাস্কুলার সার্জারি হয়েছে অথবা তাকে করোনাভাইরাস থেকে দূরে রাখতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে উনের কার্ডিওভাস্কুলার সার্জারি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রী কিম ইয়ন চোল। তার দাবি, প্রতিবেদনে যে হাসপাতালের নাম বলা হয়েছে সে হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের সক্ষমতাই নেই।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যোগাযোগের দিকটি দেখাশোনা করে থাকেন চোল। রবিবার (২৬ এপ্রিল) একটি রুদ্ধদ্বার ফোরামে তিনি বলেন, ‘যতটুকু গোয়েন্দা তথ্য হাতে আছে তার ভিত্তিতে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি উত্তর কোরিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু হওয়ার আলামত পাওয়া যায়নি।’
এরপরও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের পররাষ্ট্র ও একত্রীকরণ কমিটির চেয়ারম্যান ইয়ুন সাং হিউন সোমবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক জমায়েতে বলেন, কিম জং উন জনসন্মুখে আসছেন না তার মানে হলো ‘তিনি স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন না।’ হিউন আরও বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিলের পর থেকে তিনি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলেও কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এর মধ্য দিয়ে ধারণা করা যায়, হয়তো তিনি অসুস্থ নয়তো করোনাভাইরাস থেকে দূরে রাখতে তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।’
উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, সেদেশে এখনও করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে সে দাবির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



