মীর মো. গোলাম মোস্তফা : পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানুষ মানুষকে ভালোবাসে স্বার্থের জন্য। স্বার্থ শেষ, ভালোবাসাও শেষ। কিন্তু যাদের ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহর জন্য হয়, তাদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। কারণ তাদের ভালোবাসায় কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকে না, তারা ভালোবাসে শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
আর ভালোবাসা পূর্ণতা পাওয়ার জন্য শর্তই হচ্ছে তা নিঃস্বার্থ হওয়া। মানুষের কল্যাণে কিছু করলেও তা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা।
যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে শুধু আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করে, মানুষের উপকার করে, রাসুল (সা.) তাদের পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসল, আল্লাহর জন্য কাউকে ঘৃণা করল, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করল এবং আল্লাহর জন্য কাউকে দান করা থেকে বিরত থাকল, সে ব্যক্তি নিজ ঈমানকে পূর্ণতা দান করল। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৮১)
শুধু তা-ই নয়, যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসবে, কঠিন কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাদের আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন বলে হাদিসে পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘আমার মহত্ত্বের কারণে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া প্রদান করব। আজ এমন দিন, যেদিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া নেই। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৪২)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আরশের চারপাশে কতগুলো নূরের মিম্বর রয়েছে, যেগুলোর ওপর একদল লোক অবস্থান করবে, যাদের পোশাকে নূর এবং চেহারাতেও নূর, তারা নবী নন এবং শহীদও নন; তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন নবী ও শহীদরা। সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের কাছে তাদের বিবরণ তুলে ধরুন; তখন তিনি বলেন, তারা হলেন আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে একে অন্যকে মহব্বতকারী, পরস্পর আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য বন্ধুত্ব স্থাপনকারী এবং আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারী। ’ (সুনানে কুবরা লিন নাসায়ি)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কৃত্রিমতা ত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।