হাসান তনা, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ আমন ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িংয়ের (কারেন্ট পোকা) প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কায় কৃষকরা এখন দিশেহারা।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা, মাঠে যেখানে থাকবে সবুজের সমারোহ সেখানে মাঠের পর মাঠ ফসল বিবর্ণ হয়ে পাতা খঁড় কুটার সাদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের আমন ক্ষেতেই এই পোকা ছড়িয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন আগেও এই উপজেলার কৃষকরা এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছিল। কিন্তু ক্ষেতে এই পোকার আক্রমণের কারণে এখন তাদের দুশ্চিতার শেষ নেই।
শুরু থেকেই অতিবৃষ্টিতে আমন ক্ষেত হয়ে উঠে সবুজ প্রান্তর। মাঠের চেহারা দেখে সোনালী স্বপ্ন বুনছিল কৃষকরা। আচমকা বাদামী গাছ ফড়িংয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে বার বার পোকা দমনের ওষুধ ছিটিয়েও এই পোকা দমন করতে পারছেন না তারা। ফসলের এমন দশা দেখে অনেক কৃষককে আহাজারিও করতে দেখা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ‘মোর এক দোন মাটির (এক বিঘা জমি) আমন ক্ষ্যাত হয়য়া গেইছে পোয়াল (খড়)। সে পোয়াল (খড়) গরুও খায় না।’
একই গ্রামের প্রান্তিক চাষী আব্দুল হালিম জানান, ‘চিন্তায় করিবার পাও নাই এতো সকালে ওই পোকা মোর ভুইখান (জমি) শেষ করি দেবে।’
চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা গ্রামের নগরবন গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, ‘এবারে মুই ৭ দোন মাটিত আমন নাগাচু। তার মধ্যে ২ দোন মাটি এক্কেবারে পোড়া গেইচে।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ‘এবারে বাদামীগাছ ফড়িং পোকার (কারেন্ট পোকা) প্রজনন বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। দিনে ভ্যাপসা গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে কারেন্ট পোকার বংশবিস্তার সম্ভব হয়েছিল। তবে ওষুধ ছিটিয়ে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে এখন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।