জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে জাহেদ হাসান (৩৭) নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকতলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া জাহেদ হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকিরা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমর ছেলে।
রোববার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ জানায়, তিন সন্তানের জনক জাহেদ ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশি। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ভুক্তভোগী বসতবাড়ির পাশের মাঠে যায়। ওই সময় জাহেদ কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে অপহরণ করে। পরে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গোলাইপ্পার দোকানের পেছনে নিয়ে একটি ঘরে আটক রাখে ভুক্তভোগীকে। এরপর থেকে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতো। ভুক্তভোগী বাধা দিলে আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিশোরীকে নদীতে ও ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে আসামি। দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে তাকে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করা হয়। গত ১৮ জুন দুপুরে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায় জাহেদ।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীর মা-বাবা হাতিয়া থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। এরপর আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি জাহেদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্রগ্রামের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।