জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনার মদনে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে রাজিব মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই কিশোরীর বাড়ির পেছনের জঙ্গল থেকে তাকে আটক করে মদন থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে কিশোরীর পূর্ণ বয়স হলে বিয়ে করবে এই মর্মে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ছাড়া পায় রাজিব মিয়া। রাজিব মিয়া উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের আহম্মদ মিয়ার ছেলে।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে রাজিব মিয়ার। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে একাধিকবার রাজিব ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গলের ভেতরে কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় রাজিব। এ সময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে রাজিবকে আটক করে। পরে একই গ্রামের ইনচান মিয়ার ছেলে লিটনের ঘরে আটকে রেখে মদন থানায় খবর দেওয়া হয়। রাজিবকে ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মদন থানার এসআই আব্দুল আজিজ।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ‘রাজিবের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রাজিব আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।’
অভিযুক্ত রাজিব মিয়া বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে (ওই কিশোরীকে) বিয়ে করব।’ তবে ধর্ষণের বিষয়টি সে অস্বীকার করেছে। রাজিব মিয়ার মা আঙ্গুরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে রাজিব ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। নিষেধ করায় রাজিব আমাকে ২ দিন মারপিট করেছে। আমার ছেলের বিচার হওয়া দরকার।’
স্থানীয় মাতাব্বর লিটন মিয়া জানান, ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স হয়নি। বয়স হলে দুজনকে বিয়ে দেওয়া হবে এই মর্মে রাজিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।