বিনোদন ডেস্ক : কিছুটা স্বস্তিতে অভিনেতা পার্ল ভি পুরির পরিবার ও সহ-কর্মীরা। কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১১ দিনের মাথায় জামিন পেলেন অভিনেতা। মুম্বাইয়ের ভাসাই পুলিশ পার্লকে ৪ জুন গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দ্বণ্ডবিধির ৩৭৬ নং ধারা ও পসকো আইন অনুসারে মামলা চলছে। আজ, ১৫ জুলাই ছিল পার্লের মামলার শুনানি। সংবাদমাধ্যমের কাছে পার্লের জামিন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী রাজীব সাওয়ান্ত। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের জন্য ২৫ হাজার টাকা গচ্ছিত রাখতে হয়েছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন অভিনেতা। ১১ দিন পর বাইরে পা রাখবেন। ৭ জুন পার্লের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে, জামিন পেলেন অভিনেতা। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ‘বেপনহা পেয়ার’-এর শ্যুটিং সেটে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন পার্ল এমন অভিযোগ রয়েছে। ওই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্র ছিলেন পার্ল, অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুর মা পার্লের সহ-অভিনেত্রী ছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পার্লের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রির সহ-কর্মীরা। একতা কাপুর থেকে শুরু করে দিব্যা খোসলা কুমার, অনিতা হসনন্দানি, নিয়া শর্মাদের দাবি পার্লের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। সঙ্গে, নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে একতা ও দিব্যা দাবি করেছেন, নাবালিকার বাবা স্ত্রী-র ওপর জমে থাকা রাগের কারণে পার্লের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। উদ্দেশ্য, মেয়ের কাস্টেডি পাওয়া।
সঙ্গে একতা কাপুরের সঙ্গে ওই নাবালিকার মায়ের টেলিফোনিক কথোপকথনও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওই মহিলা বারবার মেনে নিয়েছেন পার্ল নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, এবং সেটা তাঁর স্বামী করেছে। যদিও এই ব্যাপারে থানায় বা আদালতে কোনও বয়ান এখনও দেননি বলেই জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।