চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহের সফল অভিযানের পূর্বে এসব বিষয়ে মানুষের কাছে সাইন্স ফিকশন হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু বাস্তবে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে মানবজাতি সন্তোষজনক সাফল্য অর্জন করেছে। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে যে কীভাবে একটি জেনারেশন স্পেসশিপের মাধ্যমে ইন্টারস্টেলার স্পেসে সফলভাবে ভ্রমণ করা সম্ভব।
জেনারেশন স্পেসশিপ বলতে বিশাল আকারের একটি স্টারশিপ বোঝায় যেখানে কয়েক শত মানুষ একত্রে বসবাস করতে পারবে ও অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। এ ধরনের স্পেসশিপ নিকটবর্তী স্টার সিস্টেমে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এ ধরনের মিশন পরিচালনা করার পূর্বে প্রস্তুতি নেওয়া বেশ কঠিন। বিশাল আকারের এবং টেকসই স্পেসশিপ নির্মাণ করা এবং এখানে যেসব মহাকাশচারী থাকবে তারা যেনো স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
জেনারেশন স্পেসশিপে কিছু ভবিষ্যৎবান্ধব প্রযুক্তি ইনস্টল করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রথমত স্পেসশিপে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। স্পেসশিপের সকল সদস্য যেনো স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পায় তার জন্য এটি প্রয়োজন।
স্পেসশিপ এর মধ্যে যেন খাদ্য উৎপাদন করা যায় সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। কেননা দীর্ঘ মেয়াদে অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জেনারেশন শিপের মধ্যে একটি ছোট জাদুঘর থাকতে পারে। পরবর্তী প্রজন্ম যেন জানতে পারে পৃথিবীতে কাটানো জীবন ব্যবস্থা কেমন।
ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে রোবট থাকাটা জরুরি। একই সাথে আপনি বিপদের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে চাইলে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে রোবটের প্রয়োজন হবে।
interstellar space world এর অভিযান সফল হতে হলে প্রথমত বছরের পর বছর ধরে মহাকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত এক্সপ্লোর করতে হবে। নতুন স্পেস ওয়াল্র্ড এ পৌঁছাতে হবে এবং সেখানে মানবজাতির জন্য আশা করা যায় এরকম কিছু অপেক্ষা করছে কিনা তা বুঝতে হবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ফিচারাইজড রোবট এর কাজ হবে নতুন পরিবেশ এক্সপ্লোর করা এবং স্টাডি করার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা। পাশাপাশি স্পেসশিপ এবং ভেতরের মহাকাশচারীরা কোন আসন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হলে রোবট সেটা সতর্ক করবে।
স্পেসশিপ যদি কোথাও ল্যান্ড করানোর দরকার হয় এবং এক্সপ্লোর করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে মহাকাশচারীরা সেটাও করবে। অন্যদিকে পৃথিবীতে অবস্থানরত মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখবে স্পেসশিপে অবস্থান করা মহাকাশচারীরা। টেকনোলজি ব্যবহার করে খনিজ সম্পদ আহরণ করা এবং নতুন দুনিয়ায় কলোনি স্থাপন করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।