ইলন মাস্কের এত বড় সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার পিছনে বেশ রহস্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। তিনি মাত্র 12 বছর বয়সে কম্পিউটার গেম বিক্রি করে ৫০০ ডলার আয় করেছিলেন যা অবিশ্বাস্য বটে। তিনি মাত্র সাতাশ বছর বয়সে কোটিপতি হতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে বিশ্বের সেরা সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন।
স্যাটেলাইট, রকেট, সোশ্যাল মিডিয়া সবকিছুতেই তার পদচারণা রয়েছে। অদ্ভুত আচরণ এবং নতুন উদ্ভাবনী কিছু নিয়ে আসার জন্য প্রায় সময় তিনি মিডিয়ায় আলোচিত হন। তবে ইলন মাস্কের জীবন সংগ্রামের কাহিনী সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে।
তার বয়স যখন আট তখন পিতা-মাতার সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। বাবা কঠোর প্রকৃতির ছিলেন এবং ব্যবসার চাপে সন্তানকে খুব একটা সময় দিতে পারতেন না। লাজুক হওয়ায় তাকে বুলিং এর শিকার হতে হত। এমনকি ছোটবেলায় তাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
১৭ বছর বয়সে জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পারি জমান ইলম মাস্ক। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এ পিএইচডি এর পড়াশোনা শুরু করলেও তা শেষ না করে স্টার্টআপ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
তিনি এমন এক কোম্পানি খুলতে সক্ষম হয়েছিলেন যা পরবর্তী সময়ে বিক্রি করা সম্ভব হয় এবং সাত শতাংশ শেয়ার হিসেবে ২২ মিলয়ন ডলার পেয়েছিলেন। পেপালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইলন মাস্ক। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
পেপালকে ২০০০ সালে দেড়শ কোটি ডলার এর বিনিময়ে Ebay এর কাছে বিক্রি করা সম্ভব হয়। পেপাল থেকে পাওয়া বিপুল অর্থ তিনি কাজে লাগানো দুটি আলাদা জায়গায়। তিনি মহাকাশ পর্যটন সংস্থা স্পেস-ক্স কে নিয়ে আসলেন সবার সামনে।
অন্যদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেসলার উদ্ভাবন দেখতে পায় বিশ্ব। ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে এসব সিদ্ধান্ত অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তবে তিনি সফল হয়েছেন। বিনিয়োগকারী হিসেবে টেসলায় যোগদান করার পর একটা সময় তিনি চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেন। ২০২১ সালে তিনি ৩৪০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হতে পেরেছিলেন যা একই সময়ে অন্য কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।