সিআইএ এর মিউজিয়ামকে বলা হয় বিশ্বের সবথেকে গোপন জাদুঘর। কেননা এ জাদুঘরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ ঢোকার অনুমতি পান না। তবে নিজেদের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিআইএ নিজেদের বাছাই করা কিছু লোককে এ জাদুঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়।
সিআইএ যাদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল তাদের মধ্যে বিবিসির সাংবাদিকও ছিল। আপনি যদি সিআইয়ের কাজকর্ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে চান তাহলে এ জাদুঘর আপনার জন্য যথেষ্ট।
সিআইএ যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই তখন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গোপন নথি, অস্ত্র এবং ইতিহাস এখানে সংরক্ষণ করা আছে। এমনকি হাতে তৈরি নানা শিল্পকর্ম এখানে দেখতে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের নানা ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এই জাদুঘরে। এ জাদুঘরে একটি মৃত ইঁদুর সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই ইঁদরের মধ্যে মেসেজ লুকানো ছিল। আবার একটি কবুতর দেখতে পাওয়া যায় যার চোখে স্পাই ক্যামেরা লাগানো ছিল।
এখানে বিশেষ এক ধরনের গ্লাস দেখতে পাওয়া যায় যা সিআইএ এর ইচ্ছা অনুযায়ী বিস্ফোরিত হতে পারবে। সিআইএ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিশনের অভিযানের তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে।
২০১১ সালে যখন ওসমা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয় তখন পুরো অপারেশনের মডেল এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার আগে একটি ডেমো মডেল তৈরি করে বারাক ওবামাকে দেখানো হয়েছিল। এ মডেলটি ওবামার কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যেন তিনি আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন যে মিশনটি সফল হওয়া সম্ভব।
ষড়যন্ত্র বা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে কিউবা এবং ইরাকে সিআইএ এর মিশনের বিষয়টি এখানে স্থান পেয়েছে। তবে কারাগার সহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় তাদের নির্যাতন নিয়ে এখানে কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
সিআইএ এর গোপন জাদুঘরের পরিচালক রবার্ট বেয়ার বলেন যে এটি শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয় না। এই জাদুঘর সবসময় অপারেশনাল। সিআইএ কর্মীদের ভালো এবং মন্দ দুটি দিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য এ জাদুঘরের ভূমিকা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।